মঈন উদ্দীন: একসময় পদ্মা প্রমত্তা থাকলেও এখন তা শুকিয়ে পলি জমে আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। নদীর চরে উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এ চরে আলু, বেগুন, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, সিম, করলা, পুঁই ও লালশাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। এরমধ্যে পেঁয়াজ ও রসুনে বিপ্লব ঘটেছে। পাশাপাশি চাষ হচ্ছে গম, ছোলা, মসুর, আখ, সরিষা ও বাদাম।
চরের কৃষকরা জানান, এক সময় পদ্মার চরের জমিতে শুধু ধান, গম আর আখ চাষ করা হতো। কিন্তু এখন এ সকল জমিতে আম বাগান, পেঁয়ারা বাগান, বরই বাগান, কলা বাগানসহ নানা রকম সবজি চাষ হচ্ছে। শীত মৌসুমে নদী বিধৌত চর জুড়ে আবাদ হচ্ছে নানা রকম সবজি।
চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি এ বছর ছয় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ, তিন বিঘা জমিতে রসুন, এক বিঘা জমিতে লাও এবং চার বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছি। পেঁয়াজ ও রসুনের ফলন ভাল হয়েছে। এ চরে শুধু আমি না, আমার মতো অনেকেই অর্থকরি ফসলের পাশাপাশি সবজি চাষ করছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, চরের জমি খুবই উর্বর। এ চরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যে কোনো ফসল বেশি হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :