লাইজুল ইসলাম: সমুদ্র, পাহাড়, মহেশখালী ও সেন্টমার্টিন দীপকে ঘিরে কক্সবাজারে আগমণ ঘটে লাখো পর্যটকের। এরমধ্যে দেশী পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশীদের সংখ্যা কম নয়। বিদেশী পর্যটকদের এখন কক্সবাজার যেতে হলে প্রথমে শাহজালাল কিংবা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসতে হয়। সেখান থেকে অভ্যন্তরীণ বিমানে করে যেতে হয় কক্সবাজার।
তাছাড়া, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সক্ষমতা না থাকায় আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট পরিচালিত হয় না। যদিও কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার, ভারতের অঙ্গরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের সব কিছু থাকলে এশিয়ার একটি হাবেও পরিণত হওয়ার সুযোগ আছে।
সেই লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নে বৃহত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতমধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের পাওয়ার হাউস নির্মাণ কাজ, বন্দরের রক্ষা বাঁধ, নতুন শোল্ডার নির্মাণ কাজ ও রানওয়ে প্যাডম্যান নির্মাণ কাজ শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আর বাকি রয়েছে রানওয়ে শক্তিশালী করণ এবং দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করণ কাজ। আন্তর্জাতিক রুটের সব বিমান যেনো কক্সবাজারে নামতে ও উঠতে পারে সেই লক্ষে ৯০০০ ফুট রানওয়েকে ১২ হাজার ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে। এরজন্য প্রথম বারের মত সমুদ্রের মধ্যে ব্লক তৈরি করে নির্মাণ করা হচ্ছে রানওয়ে। বাংলাদেশে এই ধরনের কাজ এরআগে হয়নি। অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তেমন ছিলো না এতদিন। কিন্তু এখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও বাড়াতে হচ্ছে। তাই বিমানবন্দরের চারপাশে নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরের ফিল্ড লাইটিং ব্যবস্থাও আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। যেহেতু এই বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালানোর ভবিষ্যত চিন্তা রয়েছে তাই এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিসটেম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এরসঙ্গে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মান করা হচ্ছে। নতুন করে এই ভবন নির্মানে সর্বোচ্চ আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে।
বিমান বন্দরের উড়োজাহাজ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া ও পার্কিংয়ের স্থান বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন বিমান সংস্থা তাদের নিজস্ব বিমানগুলো আলাদা করে বাধা মুক্ত একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে পারবেন। পার্কিংয়ের জায়গা বৃদ্ধির কারণে একই সাথে বেশ কয়েকটি বিমান কক্সবাজারে অবস্থান করতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :