রাশিদ রিয়াজ : পাকিস্তানে জাতিসংঘের চিহ্নিত ১৬ সন্ত্রাসীর ৭ জন মারা গেছে এবং বাকি ৯ জন জীবিত রয়েছে। বিশে^ সন্ত্রাসের পিছনে অর্থ যোগানের বিষয়টি তদারকি করে এমন সংস্থা ফিনান্সিয়াল এ্যাকশন টাস্ক ফোর্স এফএটিএফকে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। ইয়ন
প্যারিসে এফএটিএফ’এর বৈঠকে পাকিস্তান আরো জানায় জীবিত ওই ৯ চিহ্নিত সন্ত্রাসীর সাতজন জাতিসংঘের কাছে ভ্রমণ ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন লস্কর-ই-তৈয়বা প্রধান হাফিজ সাইদ, লস্কর নেতা হাজি মুহাম্মদ আশরাফ, জাফর ইকবাল, হাফিজ আব্দুল সালাম ভুট্টাভি প্রমুখ।
আল-কায়েদাকে অর্থ যোগানদাতা আব্দুল রেহমানও জাতিসংঘের কাছে এধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন।
১৯৯৯ সালে ভারতে মাসুদ আজহার মুক্ত হওয়ার পর জইশ-ই মোহাম্মদ নামে সংগঠনটি গড়ে তোলেন।
এফএটিএফ’এর সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন প্যারিসে সোমবার শুরু হয়েছে এবং তা চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এফএটিএফ পাকিস্তানকে ধুসর তালিকাভূক্ত করে। এ তালিকা থেকে বের হয়ে আসতে ২৭টি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে বলার পর পাকিস্তান ১৬টি বাস্তবায়ন করেছে।
এফএটিএফ’এর এ সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে, পাকিস্তান ধূসর তালিকা থেকে কালোতে যাবে, নাকি ধূসর দাগ থেকে মুক্তি মিলবে।
অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ পাওয়া অনেকটাই নির্ভর করছে এফএটিএফ’র চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর।
আপনার মতামত লিখুন :