রাশিদ রিয়াজ : এর আগে গত শুক্রবার প্রথম কিস্তিতে ১০ হাজার কোটি রুপি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য টেলিকম দফতরের কাছে সময় চেয়েছিল ভারতী এয়ারটেল। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এ নিয়ে টেলিকম সংস্থাগুলিকে আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে 'অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ' বাবদ বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া নিয়ে তৎপর হল টেলিকম সংস্থাগুলি। আগামী সোমবারই ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং টাটা টেলিসার্ভিসেস তাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেবে বলে সূত্রের খবর। না হলে কেন্দ্রীয় সরকার এই সমস্ত টেলিকম সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এইসময়

এজিআর বাবদ টেলিকম সংস্থাগুলির কাছ থেকে কেন্দ্রের মোট ১ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি রুপি বকেয়া। এর মধ্যে ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং টাটা টেলিসার্ভিসেসের থেকে কেন্দ্রের প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। যদিও এখনই তাদের পক্ষে সম্পূর্ণ বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলে টেলিকম দফতরকে জানিয়েছে এই তিন সংস্থা। মোট বকেয়া টাকার একটা অংশ তারা মিটিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে।

আগামী দিনে এই তিন টেলিকম সংস্থা বকেয়া অর্থের মধ্যে কতটা জমা দেয়, তার অপেক্ষায় আছে কেন্দ্র। তারা টাকা জমা দেওয়ার পরে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে ডিওটি-এর এক শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন।

এর আগে গত শুক্রবার প্রথম কিস্তিতে ১০ হাজার কোটি রুপি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য টেলিকম দফতরের কাছে ২০ ফেব্রুয়ারি সময় চেয়েছিল ভারতী এয়ারটেল। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এ নিয়ে টেলিকম সংস্থাগুলিকে আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়। এজিআর বাবদ বকেয়া অর্থের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে তাদের পক্ষে কত টাকা দেওয়া সম্ভব তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে শনিনার জানায় ভোডাফোন।

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত গত ২৪ অক্টোবর যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে টেলিকম সংস্থাগুলিকে প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা পুরনো বকেয়া কেন্দ্রকে মিটিয়ে দিতে হত। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চলা একটি মামলায় টেলিকম সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের ফি বাবদ টেলিকম সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেক সুদ এবং জরিমানা। এদিকে, নির্দেশ সত্ত্বেও কেন্দ্রকে বকেয়া 'অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ' না মেটানোয় সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ে কেন্দ্র টেলিকম সংস্থাগুলি।