ডেস্ক রিপোর্ট: কখনো এক সমাজের বিয়ের রীতি অন্য সমাজের বিপরীত। কোনো সমাজের বিয়ের রীতি আবার আরেক সমাজে হাসির উদ্রেক করে। বেশ মজাও দেয়। সে রকমই কয়েকটি দেশের মজার বিয়ের রীতি এখানে তুলে ধরা হলো । পাকিস্তানে বিয়ের আসর থেকে প্রথমে বরকে ধাওয়া, আর তারপর বেধড়ক মারধর করেছেন হবু শ্বশুড়বাড়ির লোকজন।
বিয়ের কিছুক্ষণ আগে বিয়ে বাড়িতে তার আগের এক স্ত্রী হাজির হয়ে, তার আরো দুটি স্ত্রী আছে- এমন তথ্য দেওয়ার পর পরই বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে ধাওয়া করে।
আসিফ রফিক সিদ্দিকী নামে ওই ব্যক্তিকে মারধর করার সময় তার শার্ট ও প্যান্ট ছিঁড়ে যায়।
মারধরের এক পর্যায়ে একটি থেমে থাকা বাসের নিচে গিয়ে আশ্রয় নেন আসিফ। পরে তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
পাকিস্তানে বহুবিবাহ আইনত অবৈধ নয়। একজন পুরুষ চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে নতুন বিয়ে করার আগে তাকে আগের স্ত্রীদের অনুমতি নিতে হয়। তবে আসিফ সেই শর্ত মানেননি।
করাচিতে নতুন বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত ব্যক্তির আগের স্ত্রী এসে হাজির হওয়ার পরই তার নতুন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা প্রথমবার আগের স্ত্রীদের সম্পর্কে জানতে পারে।
বিয়ের এক ভিডিওতে দেখা যায় যে, নতুন স্ত্রীর এক আত্মীয় এসে বিয়েতে উপস্থিত হওয়া সাবেক স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে, "কী হয়েছে বোন?"
আর এক মুহূর্ত দেরি না করেই আসল কথা বলে ফেলেন মাদিহা সিদ্দিকী নামে ওই নারী।
তিনি বলেন, আসিফ আমার স্বামী আর এই শিশুর বাবা। উনি আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি তিন দিনের জন্য হায়দ্রাবাদ যাচ্ছেন।
পরে ওই নারীকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি তার আরো আত্মীয়দেরও পরিচয় দেন।
মাদিহা সিদ্দিকী বলেন, করাচির ফেডারেল উর্দু ইউনিভার্সিটিতে কাজ করতেন আসিফ। সেখানে দেখা হওয়ার পর ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেন। এরপর ২০১৮ সালে লুকিয়ে আসিফ আরো একটি বিয়ে করেন জেহরা আশরাফ নামের এক নারীকে। ওই নারী করাচিতে জিন্নাহ উইমেনস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। স্বামীর নতুন বউয়ের পাঠানো একটি ক্ষুদে বার্তা দেখে ওই বিয়ে সম্পর্কে জানতে পারেন মাহিদা।
তিনি বলেন, আসিফ রফিক সিদ্দিকী প্রথমে ওই স্ত্রী থাকার কথা অস্বীকার করেন, কিন্তু পরে দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করেন। আর জেহরা আশরাফই এবার মাদিহাকে আসিফের তৃতীয় এই বিয়ের খবর জানান।
পুলিশ জানায়, সবকিছু জেনে তৃতীয় স্ত্রীর আত্মীয়রা আসিফের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন, তার পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন এবং তাকে বেধড়ক মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়- কিন্তু স্ত্রীর আত্মীয়রা তাকে অনুসরণ করেন এবং তার বেরিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করেন। এক পর্যায়ে আসিফ বেরিয়ে আসলে আবার তার ওপর চড়াও হন তারা এবং তখন তিনি একটি থেমে থাকা বাসের নিচে লুকিয়ে পড়েন।
ওই ঘটনার এক ভিডিওতে শোনা যায় যে, কেউ তাকে হুমকি দিয়ে বলছে, "বেরিয়ে আয় তা নাহলে আমরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেবো।" সুত্র: পুর্ব পশ্চিম
First wife thrashes husband at his third wedding in Karachihttps://t.co/BYqSFASNIL pic.twitter.com/sJOj54eYcl
— The Express Tribune (@etribune) February 11, 2020
আপনার মতামত লিখুন :