আসাদুজ্জামান সম্রাট: রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকএ তথ্য জানান।
প্রতি বছর ইঁদুরের আক্রমণে আমন ধানের ৫-৭ শতাংশ, গমের ৪-১২ শতাংশ, আলু ৫-৭ শতাংশ, আনারস ৬-৯ শতাংশ নষ্ট হয়। ইঁদুরের কারণে গড়ে মাঠে ফসলের ৫-৭ শতাশং এবং গুদামজাত শস্য ৩-৫ শতাংশ ক্ষতি করে থাকে। এরমধ্যে ২০১৮ সালে ইঁদুরের আক্রমণে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন ফসলের ক্ষতি হয় বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, বিগত ৫ বছরে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন ফসলের ক্ষতি করেছে ইঁদুর। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে ৯০ হাজার ৩৮৫ মেট্রিক টন, ২০১৬ সালে ৮৮ হাজার ৮৪৪ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে ৯৪ হাজার ৩৮৮ মেট্রিক টন এবং ২০১৪ সালে ৯৬ হাজার ৬৯৬ মেট্রিক টন ফসলের ক্ষতি হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবৈধ ও নিম্নমানের কীটনাশক বিক্রি বন্ধের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বালাইনাশক আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। নতুন বালাইনাশক বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। মাঠ পর্যায়ে প্রত্যেক উপজেলায় বালাইনাশক ডিলারের দোকান, গুদাম পরিদর্শন করতে বালাইনাশক পরিদর্শক রয়েছেন। নিম্নমানের বালাইনাশক পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সদা তৎপর রয়েছে, কোথাও কোন ভেজাল, অননুমোদিত নিম্নমানের বালাইনাশক পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
সম্পাদনা: সারোয়ার জাহান
আপনার মতামত লিখুন :