সুজন কৈরী: রাজধানী বাসাবোর কদমতলার ৩৫/১ নম্বরস্থ বাসায় রোববার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহনগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ ৪৯ লাখ ভারতীয় জাল রুপি ও ৫ কোটি জাল রুপি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে জাল রুপী তৈরির ৭ সদস্যকে। তারা হলেন- চক্রের মূল হোতা বশির উদ্দিন, তার সহযোগী মনিরুজ্জামান, মনির হোসেন, আলী আকবর, এনামুল হক আশারী, কবির হোসেন ও সোহেল।
পুলিশ বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরির কারখানা গড়ে তুলতো। কদমতলার ওই বাসায় চলতি মাসের শুরুতে ভাড়া উঠেন মনির। তিনি লোক চক্ষুর আড়ালে গড়ে তোলেন ভারতীয় রুপী তৈরির কারখানা। তার সঙ্গে রয়েছে চক্রের আরো ৬ সদস্য। কিন্তু চক্রের মূল হোতা হচ্ছেন বশিরই দীর্ঘদিন ধরে জাল রুপি তৈরি করে ও ভারতীয় এজেন্টদের কাছে সরবরাহ করছিলেন। আর কারিগর হিসেবে মনির ও সোহেলকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের বেতন দিতেন। চক্রের বাকিরা এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।
ডিবি পুলিশের উত্তর বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, এই চক্রের কিছু সদস্যকে এর আগেও জাল টাকা তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু জামিনে বেড়িয়ে আবারও জড়িয়ে একই কর্মকান্ড শুরু করে।
পুলশ জানায়, চক্রের মূল হোতা বশির কয়েক বছর আগে মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারান্তরীণ হন। আর মনির চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার হন। জেলের ভেতরে মুদ্রা জাল করার দীক্ষা পান তারা। পরে জামিনে বের হয়ে এসে শুরু করেন মুদ্রা জাল করার কাজ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতের লোক এসে নিয়ে যায় জাল মুদ্রা।
আপনার মতামত লিখুন :