শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৫:৩৬ সকাল
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৫:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছরে পর্যটনে ক্ষতি কয়েক’শ কোটি টাকা

লাইজুল ইসলাম : করোনা ভাইরাসে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে চীনের কয়েকটি প্রদেশের মানুষ। পুরো চীনজুড়েই চলছে বার্তি সতর্কতা। এর সঙ্গে আরো কিছু দেশেও ধারা পরেছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যেই চীনের সঙ্গে ফ্লাইট চলচল বন্ধ করেছে। তবে বাংলাদেশ এখনো বন্ধ না করলেও বার্তি সতর্কতা নিয়ে রেখেছে। তবে চীনের এই ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বজুড়েই ভাটা পড়েছে পর্যটন খাতে। এতে করে ক্ষতির মুকে পরছে পর্যটন সংশ্লীষ্ট ব্যবসায়ীরা।

এর আগে ২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিসান জঙ্গি হামলার কারণে পর্যটন শিল্প ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয়। এবার বিশ^জুড়ে চলা পর্যটন ভাটার কারণে ইতোমধ্যে ক্ষতির সমুক্ষিণ হচ্ছে বাংলাদেশও। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ঘুরতে আসেন পর্যটন প্রেমিরা। কিন্তু এবছর প্রথম থেকেই বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা তাদের বুকিং বাতিল করছেন। বাতিল করছেন ফ্লাইটও। করোনা আতঙ্কে বাংলাদেশেও আসছেন না অনেকে। দেশের পর্যটন খাতের একটি বড় অংশ আছে চীনা নাগরিকরা। এবার তারাও আসতে পারছেন না।

এবিষয়ে পর্যটন খাত সংশ্লীষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ টোয়াবের সভাপতি তৌফিক রহমান বলেন, কয়েকটি ট্যুরিজম ব্যবসয়ী প্রতিষ্ঠান যদি ধরা হয়, তবে চলতি মান পর্যন্ত আমাদের ক্ষতি ১৫ কোটি টাকার মতো হবে। আর যদি পুরো বাংলাদেশের হিসেব করেন তবে এটা চলতি মাস পর্যন্ত শত কোটি টাকার বেশি। আর এভাবে যদি এপ্রিল পর্যন্ত চলতে থাকে তবে ক্ষতর পরিমাণ দ্বীগুন হবে।

ট্যুরিজম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশে প্রচুর চায়না নাগরিকরা ভ্রমণে আসেন। এই ভাইরাসের কারণে তারা আসা পুরোপুরি বন্ধ। এতো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। এখান থেকেও চায়নায় প্রচুর ট্যুরিষ্ট ঘুরতে যায়। সেটাও হচ্ছে না। করোনা আতঙ্ক একটা হুমকি বিশ্বট্যুরিজমের জন্য।

তিনি বলেন, তবে অন্যান্য দেশকে ও মানুষকে নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস নেই। তবে হয়তো অন্যান্য দেশের পর্যটকরা নিশ্চিন্তে আসতে পারবে। কিন্তু এই দ্বায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটনের ওপর প্রভাব পরছে। এই ভাইরাস মানুষের হাতের বাইরে। এতে কারো কিছু করার নেই। বেশ বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হালেও ক্ষতি হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহিবুল হক বলেন, সরকার বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছে বিশ্বের নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে। সাবার ভেতরে আস্থা তৈরি করতে যে, এখানে করোনার সমস্যা নাই।

প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ লাখ বিদেশী পর্যটক আসেন বাংলাদেশ ভ্রমনে। এর একটি বড় অংশ চীনা পর্যটক, যা এখন বন্ধ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়