নূহ উল আলম লেনিন : Beauty of Democracy হচ্ছে pluralism বা বহুমতকে ধারণ করা। যে বা যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, যে বা যারা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে মীমাংসিত জাতীয়তা বা জাতির বাঙালি আত্মপরিচয়কে অস্বীকার করে, যে বা যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্র্রের লজিক তথা দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদ তথা ধর্মনিরপেক্ষতাকেই সংবিধান থেকে কেটে দেয়, তাদের কি গণতান্ত্রিক অধিকার থাকা উচিত? ভোটই একমাত্র গণতন্ত্র নয়। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য মুক্তিযদ্ধের চেতনায় আওয়ামী লীগের বিকল্প রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারে, রাষ্ট্রক্ষমতা রক্ষা করার মতো আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই। ফলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের কার্যত একাই মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
জার্মানিতে ও ইতালিতে পপুলার ভোটেই জয়লাভ করেছিলো। ভোটে জয়লাভ করলেই কি গণতন্ত্র জয়ী হয়? অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে জনগণ ভোট দিয়েই নাৎসিবাদ বা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে। হিটলার ও মুসোলিনীর নেতৃত্বেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধেছিলো। প্রায় তিন কোটি মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছিলো। যুদ্ধ শেষে সেই জার্মানি ইতালি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হিটালার মুসোলিনির দল ও নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। সেই নিষধাজ্ঞা আজও বহাল আছে। আর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী দলগুলো বৈধ দল হিসেবে তাদের ‘গণতন্ত্র চর্চ্চা’ করে চলেছে। আর আওয়ামী লীগকেই উল্টো গণতন্ত্র হরণকারী হিসেবে কাঠগডায় দাঁড় করাচ্ছে। আওয়ামী লীগও সেই ফাঁদে পা দিয়ে গণতন্ত্রের মর্মবাণী ভুলে ভোটকেই গণতন্ত্র ভেবে আত্মরক্ষায় ব্যাপৃত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :