শেখ মিরাজুল ইসলাম : আসল বিষয় হচ্ছে সিংহভাগ অভিজাত মহল ভোট কেন্দ্রে যান না। তারা লম্বা লম্বা বাণী-মতামত দিয়ে উপরের মহলে কনফিউশন ক্রিয়েট করেন। তারা পার্টিতে-আড্ডায় আত্মতুষ্টিতে ভোগেন এই ভেবে, সরকার তাদের কথায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। কচু দেয়। আদতে সরকার তাদের দোহন করে, মানে তাদের দুধের বাটে মুখ লাগিয়ে সর্বদাই চুষতে থাকে। এতে তারা অনেক সুরসুড়ি মার্কা আনন্দ পান এবং তা উদ্যাপনও করেন।
কিন্তু এই নিরীহ অভিজাত সম্প্রদায় একসময় পরম বিস্ময়ে খেয়াল করেন সরকার তাদের গাল-গপ্পো শোনে না। শোনে সেইসব ওয়াজ-পছন্দ শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত মগজ ধোলাই করা গোঁড়া ধার্মিক আমজনতার কথা। কারণ ওই আমজনতাই ভোটের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারাই সাত সকালে ভোটকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়ায়। দন্ত-নখরবিহীন বিরোধী দলের সাথে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে এখন ভোটারের উপস্থিতি খুবই দরকার। অবশেষে গণতন্ত্রের জন্য অপ্রয়োজনীয় এইসব অভিজাতদের বিনোদন বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না। মদের গ্লাস, তাসের কার্ড সব কেড়ে নেয়া হয়। তারা বুঝতে পারেন সরকার ‘ফেল কড়ি, মাখো তেল’ বলে তাদের ধোঁকা দিয়েছে। কিন্তু অভিজাতরা মন খুলে প্রতিবাদও করতে পারেন না। তাদের সাধ-আহ্লাদ ধর্মের থাবার নীচে। বেশি কথা বললে দুদক ও ওয়াজ দুটো দিয়েই তাদের ঘায়েল করা হবে। অভিজাত মহলের মনের অবস্থা এখন বস্তি’র ফকিরদের চেয়েও খারাপ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :