শিরোনাম
◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৫ সকাল
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণতন্ত্র থাকলে সব জনগোষ্ঠীর মানুষের সমান সুযোগ থাকা দরকার

 

ম ইনামুল হক : ইতিহাসে আদিকাল থেকেই শিক্ষা বিষয়টি একটি বিশেষ শ্রেণির পেশার বিষয় ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ষোড়শ মহাজনপদের যুগে, মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন, ও মুসলিম আমলে শিক্ষা ও প্রশাসন ব্রাহ্মণদের পেশা ছিলো। ব্রিটিশ আমলে আধুনিক যুগের সমাজ গণতন্ত্র চাইলো এবং সব মানুষের সমান অধিকার, মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয় বিবেচ্য হলো। তবে ওই সময় ব্রাহ্মণদের সৃষ্ট হিন্দু পুনঃজাগরণ ধরনের উন্মাদনা বাংলা তথা ভারতের সমাজে হিন্দু-মুসলমান বিরোধিতা ও বৈরিতা সৃষ্টি করে, যা থেকে উত্তরণের জন্যই সংরক্ষণের দর্শন। বাংলা তথা ভারতের সমাজে হিন্দু ও সনাতন ধর্মকে সমার্থক মনে করা হয়। আসলে হিন্দু ধর্ম বলতে বোঝায় মনুষ্যসৃষ্ট ব্রাহ্মণ্যবাদী ধর্ম, যেখানে উচ্চ-নিচ চারটি বর্ণ আছে, জাতপাত আছে, ছোঁয়াছুঁয়ী আছে। সনাতন ধর্ম এ দেশে আদিকাল থেকে আসা লৌকিক ধর্ম। ব্রাহ্মণ্যবাদী ধর্মে বর্ণিত সমাজকে উচ্চ-নিচ করার বিধান সেন আমলে আদিবাসীদের মধ্যেও প্রয়োগ হয় এবং সমাজ কুসংস্কারে পূর্ণ হয়। এই কারণেই এখানে ইসলাম ধর্মের সহজ আগমন হয়। ব্রিটিশ আমলে ব্রাহ্মণরা ইসলামকে রোধ করার লক্ষ্যে হিন্দু পুনঃজাগরণের প্রচারণা শুরু করে।

কুসংস্কারে পতিত সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে রামমোহন, বিদ্যাসাগর এবং অনেকে কাজ করেছেন। গণতন্ত্র থাকলে সব জনগোষ্ঠীর মানুষের সমান সুযোগ থাকা দরকার। তাই ১৯২২ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস বাংলায় হিন্দু-মুসলিম প্যাক্ট করেন। কিন্তু উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা এর বিরোধিতা করলে তিনি দুঃখ ভোগে মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিটিশরা ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে শুধু জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের বেলায় সংরক্ষণ প্রথা চালু করে। ১৯৫০-এর ভারতীয় সংবিধানে সরকারি নিয়োগ ক্ষেত্রে সংরক্ষণ প্রথা চালু করা হয়। এখন বাতিলের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রকে সব জনগোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা করতে হবে। তাই রাষ্ট্রীয় নিয়োগে জনসংখ্যা অনুযায়ী সংরক্ষণ অপরিহার্য। আমরা তাই ১৯২২ সালের বেঙ্গল প্যাক্ট, ১৯৩৫-এর ভারত শাসন আইন ও ১৯৫০-এর ভারতীয় সংবিধানের ধারাবাহিকতায় সংরক্ষণের পক্ষে থাকছি। সরকারি নিয়োগের লক্ষ্য মেধার পোষণ নয়, জনসেবা। তাই সব নিয়োগে জাতি, ধর্ম, ভাষা ও লিঙ্গের সংরক্ষণ অপরিহার্য। যারা মেধাবী বলে দাবিদার তারা বেসরকারি উদ্যোগে নিজেদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের উন্নতি করুক। যারা মেধাবী ও উচ্চবিত্তের, তারা বরং চাকরি না করে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াক। লেখক : আহবায়ক, সর্বজন বিপ্লবী দল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়