রংপুর প্রতিনিধি : শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিঠাপুকুর উপজেলায় ঘটনাটি ঘটে। ছেলে সন্তানের আশায় তৃতীয়বার সন্তান ধারণ করেন খালেদা। কিন্তু আবারও জন্ম হয় এক কন্যা সন্তান। পারিবারিকভাবে চাপের মধ্যে থেকেও খালেদা মেয়ের নাম রাখেন সিনথিয়া। কিন্তু পারিবারিক প্রচুণ্ড চাপে নিজ সন্তানকে পুকুরে রাখা ড্রামের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন মা।
খালেদার স্বামী সুলতান মিয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে খালেদাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
এক সূত্রে জানা যায়, সুলতান মিয়া ও খালেদার আগে দুটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তাদের একজনের বয়ন্ত্র্র (১৩) অন্যজনের (৬)। একটি ছেলের আশায় ফের সন্তান ধারণ করেন খালেদা। গত ৫২ দিন আগে তিনি সন্তান প্রসব করেন। এবারও তার মেয়ে সন্তানই জন্ম নেয়।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস জানান, শুক্রবার ভোরে হঠাৎ খালেদা চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করেন। কারণ জানতে চাইলে পরিবারকে তিনি বলেন সিনথিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির পাশে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সিনথিয়ার দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
ওসি আরও জানান, শিশু সিনথিয়ার বাবার দায়ের করা মামলায় খালেদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। অভাবী সংসারে জন্ম নিয়ে অসুখে পড়া ও স্বামী।
পরে মরদেহ পুকুর থেকে তুলে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা করে পরিবার। তবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিনথিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলীপ জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘটনাটি শুনেছি। সম্পদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :