শরীফ শাওন : শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভাসানচর পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষা সফরে ভাসানচর পরিদর্শনে গিয়ে মনে হলো, সেখানে নতুন সিঙ্গাপুর তৈরি হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে এতো সুন্দর জায়গা নষ্ট করতে চাই না। বরং আমাদের দেশে যাদের বাড়ি-ঘর নেই তাদের সেখানে পাঠানো উচিত।
রোহিঙ্গা বিষয়ে পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী বলেন, তারা ভাসানচরে যেতে রাজি না-বিষয়টি সঠিক না। তবে ইউএনএইচসিআরসহ বিদেশি সংস্থাগুলো বারবার আপত্তি জানিয়ে আসছে।
ভাসানচরের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, সেখানে আপাতত কয়েকশ ঘর তৈরি হয়েছে। নিয়মিত প্রক্রিয়ায় আরও নির্মাণ করা হবে। এবারের বুলবুল ঘূর্ণিঝড়েও সেখানে কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং কিছু লোক সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। গত কয়েকবছর ধরে সামুদ্রিক জলোচ্ছাসের কোনো পানি সেখানে ঢোকেনি। পুরো দ্বীপজুড়ে ৩০ ফুট উঁচু বাঁধ দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ভাসানচর দৃষ্টিনন্দন জায়গা, একে সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেখানে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসোর্ট তৈরি করা যেতে পারে। এখানে সকলে ওয়াটার স্কি করতে পরবেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরে সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা গৃহিত হয়। সেই লক্ষ্যেই নির্মিত হয় আবাসিক অবকাঠামো। তবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ বিষয়ে বরাবর সরকারের বিরোধিতা করে আসছে।