মহসীন কবির ও সুজন কৈরী : শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাহিনীটির রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাাঁন কামাল।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর নজরদারী মোটেও দূর্বল হয়নি। ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা টেকনাফের জনগণের ৩ গুন। তাদের নজরদারীতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ সকল বাহিনী কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোহিঙ্গা শিবিরে কাটাতাঁরের বেড়া নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী কাটাতাঁরের বেড়া তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু করছে। মূল উদ্দেশ্য তারা যেন শিবির থেকে বের হয়ে আমাদের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে না যায়।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর নজরদারী আরো শক্তিশালী করতে ওয়াচটাওয়ার এবং সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। তারা যেন বের হতে না পারে সেজন্য আমাদের সকল বাহানী তৈরি রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা থেমে যায়নি, আলোচনা চলছে। আশা করছি একদিন রোহিঙ্গাদের ফেরত নিবে মিয়ানমার।
কোস্টগার্ড প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোস্টগার্ড এখন আর ঠোঁটো জগন্নাথ নেই। এটি একটি শক্তিশালী বাহিনীতে পরিনত হয়েছে। জাহাজ-স্পীডবোট নিয়ে সমুদ্রসীমায় চোরাচালন রোধ, অবৈধ মৎস্য আহরণ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাহিনীটি কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষার জন্যও কোস্টগার্ড কাজ করে যাচ্ছে।