আসিফুজ্জামান পৃথিল : মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান বিদ্রোহী উভয়পক্ষই এই হামলার বিষয়ে দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছে। আল-জাজিরা পুরো রাখাইন অঞ্চলের অধিকতর স্বাধিকারের দাবিতে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে আরাকান বিদ্রোহীরা।
এই অঞ্চল থেকে ১০ মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা ছাড়াও প্রচুর রাখাইনও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুথিডং শহরের কাছে খামওয়ে চাউং গ্রামের একটি স্কুলে বৃহস্পতিবার আঘাত হানে আর্টিলারি গোলা। স্থানীয় পার্লামেন্ট মেম্বার টুং অন থেইং রয়টার্সকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আহত ১৯ জনের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর।’
তবে এক সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মি এবং এতে আহতের সংখ্যা ২০ জন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বলেন, ‘আমরা দ্রুতগতিতে এই শিক্ষার্থীদের কাছের সামরিক চৌকিতে নিয়ে চিকিৎসা দেই। ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ স্কুলটির শিক্ষক থর আয়ে মং বলেছেন, এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা ২১।তিনি বলেন, ‘এক বালিকা খুব বাজেভাবে আহত হয়েছে। বাহিরা হাতে বা পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’
তিনি জানান, স্কুলটি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে দুই পক্ষই বড় ধরণের সংঘাতে লিপ্ত আছে। আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র জানান, তাদের গ্রুপ এই হামলার জন্য দায়ি নয়। এ ধরণের আর্টিলারি পিস তাদের কাছে নেইও। তিনি এই হামলার জন্য মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীতে দায়ি করেন।
আপনার মতামত লিখুন :