ডেস্ক রিপোর্ট : বিটানিন যুক্ত লাল শাক, রূপে যেমন মনোহারী, গুণেও তেমন কার্যকরী। বর্তমান পেরুতে ৮ হাজার বছর আগে লালশাকের চাষ শুরু হয়েছিলো সবজি হিসেবে। তবে লালশাক কেন এত লাল, এই প্রশ্ন অনেকের মনেই। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, লালশাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং রক্তশুন্যতা দূর করে। চ্যানেল২৪
শুধু প্রধান খাদ্য হিসেবে লালশাক জনপ্রিয় ছিলো না, প্রাচীন অ্যাজটেক সভ্যতার অধিবাসীদের কাছে। তাদের ধর্মীয় উপকরণ হিসেবেও ব্যবহার হতো লালশাক ও এর বীজ।
গবেষণা বলছে, সহজলভ্য লালশাকে রয়েছে ভিটামিন 'এ', পাইরিডক্সিন ও ভিটামিন 'সি'। এছাড়াও রয়েছে ফোলেট, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন প্রোটিন, প্যানটোথেনিক এসিড।
খনিজ উপাদান ফসফরাস, আয়রন, সেলেনিয়াম, কপার, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়ামও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্যালসিয়াম সাহায্য করে দাঁত ও হাড় গঠনে, লাইসিন চুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং ত্বককে সুন্দর করে। দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ এবং রক্তশুন্যতা দূর করতে লালশাকের লাল শাকের জুড়ি মেলানো ভার ।
শাকটিতে থাকা বিটা ক্যারোটিন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে ভীষণ সহায়ক এই শাক।
পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, 'রোগ প্রতিরোধ খাবারের মধ্যে লালশাক অন্যতম। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। যারা রক্তশুন্যতায় ভুগে তাদের জন্য লালশাক অনেক উপকারী। লালশাক প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে ৩দিন খাওয়া উচিত। তবে আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সাথে অবশ্যই টক জাতীয় খাবার (যেমন- লেবু) খেতে হবে। তা হজমে সহায়তা করবে।'