রাশিদ রিয়াজ : যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব আদায় হ্রাস ও সরকারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সরকারি ঋণ আরো ২ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
কংগ্রস বাজেট অফিস বলছে দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মার্কিন সরকারের এধরনের ব্যয় সর্বোচ্চ এবং আগামী ১০ বছরে রাজস্ব আদায়ের চেয়ে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় ১.২ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে যা দেশটির জিডিপির ৪.৪ শতাংশ। গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারের ব্যয় দেশটির জিডিপির গড় ২.৯ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক ঘাটতি ও জাতীয় ঋণ বৃদ্ধি ওবামার শাসনামলে বৃদ্ধি পাওয়ার পর তা ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন অর্থনীতিতে দেশটির জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২০১৮ সালে জিডিপির ৭৮ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০২৯ সালে এধরনের ঋণ দাঁড়াবে ২৮.৭ ট্রিলিয়নে। এর বাইরেও মার্কিন সরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে যা গত কয়েব বছরে সাড়ে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
এদিকে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ বলছে মার্কিনীদের গৃহস্থালী বন্ধকী ঋণের পরিমাণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় তা ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এধরনের ঋণ ২০০৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ১২.৬৮ ট্রিলিয়নের চেয়ে দেড় ট্রিলিয়ন বেশি।
শেয়ার বাজার ধস বা বড় ধরনের মন্দার প্রভাব মার্কিনীদের গৃহস্থালী ঋণের ওপর এখনো নেতিবাচক প্রভাব বজায় রেখেছে।
নিউইয়র্ক ফেড’এর ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলবার্ট ভ্যান ডার ক্লাউভ বলেন ২০১৬ সালের পর থেকে তরুণ ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিএনএন/স্পুটনিক
আপনার মতামত লিখুন :