শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৪ সকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজীবের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা : অবৈধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ ছিলো ৪ সেনাপতির হাতে

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ছিলেন মোহাম্মদপুরের সাধারণ মানুষের আতঙ্ক। আধিপত্য বিস্তার করে ওই এলাকায় তিনি গড়ে তুলেছিলেন অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী। এই বাহিনী দিয়েই তিনি প্রতি মাসে কোটি টাকার চাঁদাবাজি করতেন।

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে জমি লিখে নেয়াও ছিলো নৈমিত্তিক ঘটনা। আর অবৈধ এসব আয়ে রাজীব চলতেন রাজকীয় হালে। ব্যবহার করতেন দামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। যেখানেই যেতেন, তার গাড়িবহরের সামনে-পেছনে থাকত শতাধিক সহযোগীর একটি দল। রাজীবের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে তারাও পুরো এলাকায় কায়েম করেছিল ত্রাসের রাজত্ব।

রাজীবের অবৈধ আয়ের উৎস অনুসন্ধান করতে গিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গতকাল বুধবার মোহাম্মদপুর থানায় মানি লন্ডারিং আইনে রাজীব ও তার চার কথিত সেনাপতির নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। তার চার সেনাপতি হলেন-শাহ আলম হোসেন জীবন, কামাল, নূর মোহাম্মদ ও রুহুল আমিন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সিআইডি বলছে, চার সেনাপতির মাধ্যমে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিমাসে প্রায় ৮০ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন রাজীব। গরুরহাটে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতেও তারা ছিল বেপরোয়া। তার মালিকানাধীন নামিয়া এন্টারপ্রাইজের আড়ালে নামমাত্র টাকা দিয়ে বায়না করেই রাজীব জমি দখল করতেন। এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিকে কাউন্সিলর কার্যালয়ে ধরে এনে জোর করে জমি লিখেও নেয়া হতো।

এ ছাড়া শ্যামলাপুর ওয়েস্টার্ন সিটি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন রাজীব। চার বছরে তার চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অবৈধ আয়ের সাড়ে ২২ কোটি টাকার বেশি জমা হয়। এমনকি রাজীব ও তার লোকরা মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।

সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ সুপার ফারুক হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘সহযোগীদের নিয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র দিয়ে ভীতি প্রদর্শন করতেন রাজীব। অবৈধভাবে আয় করা অর্থ দিয়ে তিনি জমি ও ফ্ল্যাটও কেনাসহ নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান চালু করেন। রাজীবসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় অপরাধ সংগঠনের তথ্য পাওয়া গেছে।’

রাজীবের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৬ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। গত ২০ অক্টোবর র‌্যাব ভাটারা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করে। এসব মামলায় রাজীব এখন কারাগারে আছেন। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়