তিমির চক্রবর্ত্তী: এসব হাড়ের ছাট মাংস সংগ্রহ করে ব্যবহার হচ্ছে দোকানে তৈরি করা বিভিন্ন খাবারে। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। মানহীন অস্বাস্থ্যকর এসব খাবারের বিষয়ে সরকারের কোন সংস্থার নেই তদারকি। সূত্র: দীপ্ত সংবাদ
সরকারের মনিটরিং সংস্থা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকের কাছে খাবারের মানের এসব বিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুব কবীর বলেন, জনবল সংকটের কারণে আটকে যায় তাদের তদারকি। তিনি বলেন, মাত্র ১৫ জন কর্মকর্তা নিয়ে চলছে আমাদের সংস্থা। তাই অনেক সময় আমাদের কিছুই করার থাকে না। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ বা জানতে পারলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন তিনি ।
ফুটপাতে মুখরোচক খাবার হিসাবে বেশ সুনাম রাজধানী ঢাকার। এসব খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয় নানান উপাদান। পাঁচ প্রকার ডাল, তেল, গরুর মাংস। তবে সে তুলনায় দাম অনেকটাই কম। প্রতি কাপ হালিম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানী কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, যেখানে ৫৫০ টাকা প্রতি কেজি গরুর মাংস সেখানে কিভাবে এত কম দামে হালিম বিক্রি করে? রাজধানীর হাজারিবাগ বেরীবাঁধ এলাকায় গরুর ফেলে দেওয়া অংশ রিসাইক্লিন করতে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কারখানা। রয়েছে রিসাইক্লিনের পরে ফেলে দেওয়া হাড়গোর সংগ্রহের জায়গাও। যা রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংগ্রহ করা হয়। এসব মাংস বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
সাধারণ কিছু পথচারী এসব খাবেরের বিষয়ে জানলেও তাদের অভিযোগ নিন্মমানের এসব খাবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না সরকারের কোন সংস্থা। অনেক ব্যবসায়ির অভিযোগ দেশে নিরাপদ খাদ্য আইন থাকলেও এর তেমন কোন প্রয়োগ নেই। আবার নৈতিকতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। তাদের চাওয়া, এসবের বিরুদ্ধে দ্রুতই যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
https://www.facebook.com/DeeptoNews/videos/3023020734442581/?v=3023020734442581