শাহীন খন্দকার, এনামুলহক : ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন জানালেন, গদখালীতে এ বছর ৬২৫ হেক্টর জমিতে সাড়ে ৬ হাজার চাষি ফুল চাষ করেছেন। ১০৫ হেক্টর জমিতে গোলাপ, ১৬৫ হেক্টর জমিতে রজনীগন্ধা, ২৭২ হেক্টর জমিতে গ্লাডিওলাস, ৫৫ হেক্টর জমিতে গাঁদা, ২২ হেক্টর জমিতে জারবেরা ও অন্যান্য ফুল চাষ করা হয়েছে প্রায় ৬ হেক্টর জমিতে।বছর জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে ঘিরে টুকটাক ফুল বিক্রি হলেও মূলত এই উৎসবকে ঘিরেই তাদের স্বপ্নের বীজ বপন হয়। আর এই দিবসেই জমজমাট হয়ে ওঠে ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালী।
বর্তমানে বাজারে প্রতিটি গোলাপ ২-৪ টাকা, জারবেরা ৫ টাকা, গ্লাডিওলাস ৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিন দিবসে ফুলের দাম দুই থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা চাষীদের।বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি গদখালীর ফুলচাষি আব্দুর রহিম জানান, গত বছর ২৫০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছিলো। এবার আরো ৫০ কোটি টাকা বেশি ফুল বিক্রির আশা করছেন তারা।
গদখালী সেজেছে নানা রঙের বাহারী ফুলের নতুন রূপে প্রকৃতি হয়েছে উঠেছে একাকার। ঝিকরগাছার ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন দোল খাচ্ছে জারবেরা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, হলুদ গাঁদা ও চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা ফুল।সূর্য উদয়ের আগেই চাষি, পাইকার, মজুরের হাঁক ডাক শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন বিভাগসহ জেলা শহরের দূর-দূরান্ত থেকে ফুল কিনতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা আসছেন এই বাজারে। ফুল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যান।
ফুলচাষী সাইদুর মিয়া জানান, চলতি বছর এক বিঘা জমিতে গাঁদা, এক বিঘা জমিতে জারবেরা ও ১৫ কাঠা জমিতে গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ করেছেন। জাতীয় দিবসে তার দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :