তিমির চক্রবর্ত্তী: জনস্বার্থে, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। সূত্র: প্রথম আলো/ ল'ইয়াস ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম
তিনি জানান, ঢাকাসহ সারাদেশে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে অবিলম্বে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দশ দিনের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হবে ।
মানবসৃষ্ট শব্দ দূষণ যেমন যানবাহনের হর্ন, হাইড্রোলিক হর্ন, উচ্চ শব্দে মাইকিংসহ এ জাতীয় শব্দ দূষণ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। অথচ বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
ক্যাপস-এর গবেষণা দল ঢাকা শহরের ৭০ টি এলাকায় শব্দ দূষণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের ফলাফলের চিত্র উঠে এসেছে।
শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী, সচিবালয় এলাকায় দিনের বেলায় শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেল থাকার কথা ছিল। কিন্তু জরিপে দেখা গেছে, দিনের বেলায় শব্দের মাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের নিচে ছিল না।
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী অতিমাত্রায় শব্দ দূষণের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং গর্ভবতী মায়ের সন্তান বধির হয়ে জন্মাতে পারে। এছাড়া তিন বছরের কম বয়সী শিশুরাও মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের প্রভাবে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। তাই এখনি যদি শব্দ দূষণের লাগাম টানা না যায় তবে একটি শ্রবণ প্রতিবন্ধী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসবে এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :