তৌহিদুর রহমান , ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরে শুক্কুর আলী (৩৫) কে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় দেন।শুক্কুর নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার হালদ গ্রামের বাসিন্দা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আফজাল কৈয়া ও তার স্ত্রী হেলেনা বেগম। এ ঘটনায় আমির উদ্দিন নামে আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার জারিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও মামলার বাকি দুই আসামি ওমর ফারুক ও মো. সুমনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আফজাল কৈয়া ও আমির উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার হালদ গ্রামের বাসিন্দা শুক্কুর আলী একই গ্রামের বাসিন্দা আফজাল মিয়ার কাছ থেকে জায়গা কিনেন। পুরো টাকা নিয়েও জায়গা রেজিস্ট্রি না করে সময়ক্ষেপণ করছিলেন আফজাল।
গত ২০১২ সালের ৭ ডিসেম্বর শুক্কুর আলীকে কৌশলে আফজালের শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় নিয়ে আসেন হেলেনা। পরে শুক্কুরকে স্থানীয় মরিচাকান্দি এলাকার মেঘনা নদীর কাছে নিয়ে গিয়ে প্রথমে পুরুষাঙ্গ কেটে দেন হেলেনা। এরপর আফজাল এসে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে শুক্কুরের মরদেহ নদীতে ফেলে দেন।
পরদিন ৭ ডিসেম্বর নদী থেকে শুক্কুরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মরিচাকান্দি এলাকার চৌকিদার শাহআলম বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় দীর্ঘ তদন্তের পর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শরীফ হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমজাদ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :