জিয়া হাসান : রাতের আঁধারে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জনগণের কাছে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা না থাকা আওয়ামী লীগ যুবদলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাঝে উন্নয়নের নামে যেভাবে নিজের অবৈধ ক্ষমতার বৈধতা খুঁজে, ঠিক তেমনি এনআরসি ক্যাব সীমান্ত হত্যা, দেশে একটি পুতুল সরকারকে টিকিয়ে রাখাসহ বাংলাদেশবিরোধী, উগ্র হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের জবাব হিসেবে টুর্নামেন্টে ফেভারিট ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যুবাদের বিজয়কে জনগণ তার নিজের নৈতিক বিজয় হিসেবে দেখে। সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে ভারতীয়রা পাকিস্তানিদের শত্রু হিসেবে দেখে, কিন্তু সমকক্ষ হিসেবে সম্মান দেয় অন্যদিকে বাংলাদেশিদের বন্ধু হিসেবে দেখে, কিন্তু অধস্তন হিসেবে ট্রিট করে। বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত যতো বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করে ইসরাইলিরাও ফিলিস্তিনে এতোজন ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে না। কিন্তু আমাদের তেলতেলে পররাষ্ট্রনীতি, আমাদের রাষ্ট্রের পরিচালকদের কেঁচোর মতো মেরুদ-হীনতার বলী হয় সীমান্তে নিরীহ নাগরিক।
এই সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশি নাগরিককে ডিহিউম্যানআইজ করে। ডিহিউম্যানাইজেশন যেকোনো গণহত্যার প্রথম প্রস্তুতি এবং ভারতে বাংলাদেশি বিতাড়নের নামে একটি গণহত্যার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এটা আমার বক্তব্য নয়, এটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগরি স্টান্টনের বক্তব্য।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বিজয়ী তরুণদের জন্য আমরা গর্ববোধ করি, কারণ এই তরুণেরা টুর্নামেন্ট ফেভারিট ভারতীয়দের পরাজিত করে প্রমাণ করে আমরা ভারতীয়দের থেকে আরও বেশি মহত্তর, আরও দক্ষ, আরও উদার, আরও যোগ্য। ফলে আমাদের ডিহিউম্যানাইজ করার কোনো সুযোগ নেই। আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ডিহিউম্যানাইজেশন ক্যাম্পেইন হয়েছে তাকে রাজনীতির মাঠে কূটনীতিতে, খেলাধুলায়, বিজনেস, শিল্প-সাহিত্যে সব কিছুতে মোকাবেলা করতে হবে এবং এর সব কিছুই রাজনৈতিক। তাই এই তরুণদের অভিনন্দন। তোমরা পেরেছো আমরাও একদিন পারবো। We shall overcome someday. ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :