শিরোনাম

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:২৫ সকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রতিদিন কোথায় খেলাধুলা করে, কোনো খবর আছে?

মুসা কলিম মুকুল : ক্রীড়া ও সংগীত কিছু আলেমের দৃষ্টিতে হারাম। কিছু আলেম ক্রীড়ার স্বাস্থ্যকর দিকটি বিবেচনা করে একে জায়েজের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। দাবা, লুডু ও তাস খেলা স্বাস্থ্যকর নয় মনে করে মক্কার খতিব তো হারাম বলে দিয়েছেন। তবে পশ্চিমা গবেষকরা বলছেন দাবা, লুডু ও তাস খেলা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো, বিশেষ করে বুড়োবুড়িদের জন্য। তবে মন ও দেহের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সংগীত ও নৃত্যকলার জুড়ি নেই। সংগীত মস্তিষ্ককে শান্ত করে, নিদ্রাহীনতা দূর করে, দেহে হরমোনের প্রবাহের ভারসাম্য আনে। পেশী ও অস্থিসন্ধির স্বাস্থ্যের জন্য নৃত্য তো অনন্য।

যাক বলছিলাম বিশ্বকাপের কথা। ভালো। বিশ্বকাপ তেমন মন্দ কিছু নয়। তবে খেলাধুলা যখন একটা জাতির জন্য কেবল দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন জানতে হবে, জাতিটিকে পরিকল্পিত উপায়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। গুটিকয় ছেলেদের পেছনে টাকা ঢেলে জাতীয় দল বানিয়ে দেশের আর ছেলেমেয়েদের সাক্ষীগোপাল বা দর্শক বানিয়ে জাতিকে কী পঙ্গু করে ফেলা হচ্ছে? আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রতিদিন কোথায় খেলাধুলা করে, খবর আছে? ক্রীড়া ও সংগীতহীন বাংলার শিশুরা যে সব একেকটা ফার্মের মুরগি হয়ে উঠছে। তারা এবং তাদের অভিভাবকরাও ক্রীড়াকে অধিকার বলে জানে না আর। তারাই জাতির ভবিষ্যৎ? বিশ্বকাপ ভালো। কিন্তু যে বিশ্বকাপ সারাদেশের খেলাধুলা হারিয়ে ফেলা ছেলেমেয়েদের খেলার মাঠের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে না, উল্টো সাক্ষীগোপাল হওয়াটাকেই ‘গৌরবের বিষয়’ বলে ভোলায় সে বিশ্বকাপ সাক্ষাৎ ইবলিশ, সে বিশ্বকাপের উপর আল্লাহতায়ালার লা’নত পড়ুক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়