কামরুল হাসান মামুন : একজন মেন্টর, একজন শিক্ষক, একজন গুরুর কি ইমপ্যাক্ট হতে পারে সেটা বুঝতে হলে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের স্ট্র্যাংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ রিচার্ড স্টোনিয়ারকে স্টাডি করলে স্পষ্ট হবে। এই মানুষটার কথা শুনলেই বুঝা যায় আমাদের ছেলেদের কি পরিমাণ ভালোবাসা দিয়ে একদম আপন করে নিয়েছেন। আমাদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের গুরুত্ব এমনই। রিচার্ড স্টোনিয়ার যদি বলতে শুরু করত আমাকে এই সময়ের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এই সময়ের বাহিরে কোনো কথা বলবো না। এইটা করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এর বাহিরে কিছু চাইলে বাসায় প্রাইভেট পড়তে এসো। অফিসিয়াল সময়ের বাহিরে কিছু বুঝতে চাইলে যদি বলে আমার কোচিং সেন্টারে এসো। তাহলে হবে? এই শিষ্য আর গুরুর মধ্যে সরাসরি কোনো টাকা লেনদেনের বিষয় থাকতে পারে না। টাকা লেনদেনের বিষয় যা থাকবে সেটা হবে কর্তৃপক্ষ আর স্টোনিয়ারের মধ্যে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্কও ঠিক এইরকম হতে হবে। কর্তৃপক্ষ এনাফ বেতন ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য নিয়োগ দিবে।
কী অভাগা আমরা। দেশের গার্মেন্টস সেক্টর থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠা নেই বিদেশিরা চাকরি করে দেশের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। আর বিদেশি শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে ‘বাংলাদেশের নাগরিক’ হতে হবে। তাহলে আর এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় বলেন কীভাবে? সেটাতো থাকে লিখিত। অলিখিত নিয়ম হলো কেবল বাংলাদেশি নাগরিক এনাফ না। যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রার্থীকে অবশ্যই সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স পাস হতে হবে। এবং সেটা ফ্রেশ হতে হবে। আবার ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বিদেশে পিএইচডি পোস্ট-ডক ইত্যাদি করে আসলে হবে না। তখন এদের ইঁচড়ে পাকা ভাবা হয় যাদের সহজে ইচ্ছে মত সড়ঁষফ করা যাবে না। বোঝা গেছে জিনিসটা? এই হলো আমাদের দেশের অবস্থা।
আপনার মতামত লিখুন :