মাসুদ আলম : সোমবার সবুজবাগ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রোববার সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজাম উদ্দিন, রায়হান ভুঁইয়া, হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন ওরফে মুসলিমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ। তাদের কাছ থেকে ৩টি চাপাতি, ৩টি ব্যাগ ও ৪টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, গ্রেপ্তারহওয়া সদস্যরা আনসার আল-ইসলামের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একত্রিত হয়। সংগঠনের দাওয়াতি শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গণি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর মাধ্যমে তারা সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য দাওয়াত প্রাপ্ত হয়ে অনলাইন চ্যাট গ্রুপ ও ক্রিপ্টোকারেন্সীর মাধ্যমে যোগযোগ করে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতো। সম্প্রতি আনসার আল-ইসলামের নেতা আবু কায়সার ওরফে রনির নির্দেশে এই গ্রুপের সদস্যরা ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলা পরিকল্পনা করেছিলো। পলাতক নাজমুল ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদ বিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যাচেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করে। সে কুয়েতে থাকাকালীন টেলিগ্রামে ‘এসো কাফেলাবদ্ধ হই’ গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যা চেষ্টার পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেয়। নাজমুল দেশে ফিরে পুনরায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও সংগঠনের জন্য কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :