সুজিৎ নন্দী: অযত্ন, অবহেলা আর দূষণের কবলে পড়েছে ধানমন্ডি লেক। জিগাতলা থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়ক পর্যন্ত ময়লা-আর্বজনার ছড়াছড়ি। খামখেয়ালী ও অবহেলার কারণে ধানমন্ডি লেক ক্রমেই দূষিত হয়ে পড়ছে।
কলাবাগান ক্লাবের একাধিক কর্মকর্তা জানান, লেকের দায়িত্ব ডিএসসিসির কিন্তু পরিষ্কারের দায়িত্ব ঢাকা সিকিউরিটি সার্ভিস।পরিচ্ছন্নতার কথা জানালে সিকিউরিটিজ কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান তাদের বাজেট খুবই কম। অন্যদিকে করপোরেশন কোনই দায়িত্ব পালন করে না। এখানে প্রতিদিন বিদেশী পর্যটকরা আসছে। ইতোপূর্বে এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ধানমন্ডি লেক বহু আগে আমার বাবা মরহুম মেয়র মোহাম্মদ হানিফ সংস্কার করেছেন। লেককে নবরূপে সাজানো হবে। কলাবাগান মাঠ নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, লেকটি আট ভাগে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতার কাজ চালানো হচ্ছে। পার্কের দায়িত্ব শুধু কাউন্সিলরের নয়। তাদের ক্ষমতাও সীমিত। পার্কে ঢোকা ও বের হবার জন্য নির্দিষ্ট গেটের জন্য বলা হচ্ছে।
প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরটি ১৫নং ওয়ার্ডে থাকার কারণে কাউন্সিরেরও দেকভালের দায়িত্ব থাকে। এখানে উন্নয়ন কাজ ও চলছে। এখানে ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং উপদেষ্টা কমিটি আছে। ধানমন্ডির পরিবেশ কিভাবে উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাদাম-ফুচকাসহ নানা ধরনের খাবার খেয়ে যত্রতত্র প্যাকেট, পানির বোতল ফেলে লেকের পানিতে। এতে লেকের পানি ক্রমেই দূষিত হয়ে পড়ছে। ভেতরে খাবার ব্যবস্থাও আছে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
আপনার মতামত লিখুন :