স্পোর্টস ডেস্ক : অনূর্ধ্ব ১৯ দলের শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাস শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই বিধ্বস্ত হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দল। পাকিস্তান সফরের প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরে লজ্জায় পড়েছে মুমিনুলবাহিনী। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে বারবার এসেছে যুবাদের শিরোপা জয়ের প্রসঙ্গ। ফলে একটু বিব্রতই হচ্ছিলেন মুমিনুল। তবে জুনিয়রদের কাছে শিখতে লজ্জা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘তৃতীয় দিনের খেলা শেষে আমরা সবাই ফাইনাল দেখতে বসে ছিলাম টিভির সামনে। ভীষণ টেনশনই হচ্ছিল কী হয়, কী হয় ভেবে! যখন ৩০ রান দরকার ছিল, অনেকগুলো ডট বলে গেছে, ভাবছিলাম পারবে তো?’- টিভির সামনে বসে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার ব্যাপারে এ কথাগুলোই বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
রোববার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দিনের শেষ বিকেলে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যা পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় দলকে, জাগিয়ে তোলে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা। মাঠের হতাশা ভুলে টিভিতে সরাসরি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের ম্যাচ দেখেছেন মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
আজ ম্যাচের চতুর্থ দিন সকালে ইনিংস পরাজয় এড়াতে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট হয়েছেন মুমিনুল। বাংলাদেশ দল অলআউট হয়েছে ১৬৮ রানে। ইনিংস ও ৪৪ রানের বড় ব্যবধানের পরাজয়ে পূরণ হয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ইনিংস পরাজয়ের হ্যাটট্রিক।
ইনিংস ব্যবধানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন মুমিনুল হক। উত্তরে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই! আপনি যদি কিছু শিখতে চান, তাহলে যেকোনো জায়গা থেকেই শিখতে পারেন। সেটা হোক জুনিয়র বা সিনিয়র দল। আমি মনে করি, অনূর্ধ্ব-১৯ দল আমাদের দেখিয়েছে, কীভাবে ভালো ফলাফল পেতে হয়। ওরা সত্যিই অনেক ভালো করেছে। আমি ওদের অভিনন্দন জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওরা অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ছিলো। আর এ দলের ইতিবাচক দিকটা হলো, ওরা গত দুই বছর ধরে একসঙ্গেই ছিলো। যে কারণে ওদের পারস্পরিক সম্পর্কটা অনেক ভালো। আর একটা বিষয় হলো, আমার কাছে এটাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন। এর চেয়ে বড় কিছু এখন আর হতে পারে না। আমার বিশ্বাস, এ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দল অন্তত ৬-৭ ভালো ক্রিকেটার পাবে।’
আপনার মতামত লিখুন :