আসিফুজ্জামান পৃথিল : যখন কাশ্মীরে জঙ্গী সক্রিয়তা ভয়াবহ ছিলো এবং সবাই নির্বাচন বয়কট করছিলেন, তখনও ব্যাপকহারে ভোট পেয়েছেন ওমর আবদুল্লাহ। জনপ্রশাসন আইনের অধীনে আটক দেখানোর কারণ হিসেবে এ কথা বলেছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। এনডিটিভি
তাকে আটক করার ডেশিয়ে খোর সুযোগ পেয়েছে ভারতের টেলিভিশন এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল কনফারেন্স এর ভাইস গ্রেসিডেন্ট নিজের উগ্র ধর্মীয় আদর্শ ধারণ করেন যা প্রায়শই কাজেও লাগান। অবশ্য এই ডোশিয়েতে দারি পক্ষে কোনও ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সবসময়ই ভোট বর্জনের কথা বললেও কাশ্মীরের জনতা তাকিয়ে থেকেছে ওমর আব্দুল্লাহর দিকে। তার আহ্বানে সারা দিয়ে ভোটও দিয়েছে। এতে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলো বাঁধা পর্যন্ত দেয়নি।
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে সিআরপিসি আইনের ১০৭ ধারায় গৃহবন্দী আছেন ওমর। এই আইন অনুযায়ী ৬ মাস পরে ৫ ফেব্রুয়ারি তার মুক্তি পাবার কথা থাকলেও বিতর্কিত জননিরাপত্তা আইনের আওতায় ফের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে ওমর আব্দুল্লাহ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টুইটারের মাদ্যমে জনগনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন।
অবশ্য ওমর আব্দুল্লাহ সর্বশেষ টুইট করেন কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রাক্কালে ৫ আহস্ট। তিনি সেই টুইটে সকল কাশ্মীরিকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপরই তিনি গ্রহবন্দী হন।
আপনার মতামত লিখুন :