সুজন কৈরী: রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯ সালে ছোট-বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটনাস্থলে ও দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসাবের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন।
এ সময় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৫৪টি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন আছে। প্রকল্পটি শেষ হলে ৫৬৭ উপজেলায় স্টেশন চালু হবে। তখন প্রত্যেক উপজেলাতে একটি করে ফায়ার স্টেশন থাকবে।
তিনি বলেন, ১১টি মর্ডান ফায়ার স্টেশন করা হয়েছে। এখানে ৬৮ মিটার টিটিএল লেডার সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপণে ২২ তলা থেকে ২৫ তলা পর্যন্ত উচ্চতায় কাজ করা যাবে।
আগুন লাগার পরে সুউচ্চ ভবন থেকে নামার জন্য গত ২৪ নভেম্বর তিনটি জাম্পিং কুশন সংযোজন করা হয়েছে। পুরান ঢাকায় সরু রাস্তায় কাজ করার জন্য দুটি রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং ভেহিকেল সংযোজন করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে।
সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা দেখে শিগগির ফলোআপ করা হবে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিভিন্ন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রামে ১৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন আহত এবং ঢাকায় একজন ফায়ার ফাইটার মারা গেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :