রাকিব উদ্দীন : রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের সামনে ২১২ রানের লিড দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান। এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সবগুলো উইকেটের বিনিময়ে ২৩৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৪৪৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ওপেনিং জুটি থেকে চিটকে যান সাইফ হাসান। নবম ওভারের শেষ বলে নাসিম শাহ’র বলে বোল্ড হয়ে ১৬ রানে সাজঘরে ফিরেন সাইফ। চা বিরতির পর খেলতে নেমে ৩৪ রানেই ইয়াসির শাহের হাতে উইকেট তুলে দিলেন তামিম।
মুমিনুল হক ৩৩ ও নাজমুল হাসান শান্ত ৩৬ রানে অপরাজিত আছেন।
তৃতীয় দিন ৩ উইকেটে ৩৪২ রান নিয়ে মাঠে নেমে শুরুতেই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহি। মোহাম্মদ মিঠুনের তালুবন্দি করে ১৪৩ রানে বাবর আজমকে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। সেই সাথে নিজের ঝুলিতে পুরেন তৃতীয় উইকেট। শিকারের নেশায় হন্য হয়ে বোলিং করতে থাকা এবাদত ফেরান সেট হতে বসা আসাদ শফিককে। লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হয়ে ৬৫ রান করেই মাঠ ছাড়তে হয় এই ব্যাটসম্যানকে।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে রাখেন হারিস সোহেল। মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ইয়াসির শাহ দ্রুত রুবেলের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়লেও একাগ্রচিত্তে উইকেটে লড়াই করে যেতে থাকেন তিনি। সেই সাথে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর বল হাতে এসে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেন রুবেল হোসেনের বোলিং তোপ আর বেশিক্ষণ সামলাতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ৪৪৫ রানেই থেমে যায় তাদের প্রথম ইনিংস। সেই সাথে বাংলাদেশকে তাঁরা লিড দেয় ২১২ রানের।
বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ রাহি এবং রুবেল হোসেন নেন তিনটি করে উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ১৪৩ রান করেন বাবর আজম।
এর আগে দ্বিতীয় দিনে শান মাসুদ এবং বাবর আজমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে বড় লিডের ইঙ্গিত দিচ্ছিল পাকিস্তান। ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান নিয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল পাকিস্তান।
আপনার মতামত লিখুন :