শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:৫৬ সকাল
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিলুপ্তির পথে গরু, মহিষ দিয়ে হালচাষ

তপু সরকার হারুন, শেরপুর প্রতিনিধি : ভোর হলেই বেরিয়ে পড়তেন গ্রামের কৃষক লাঙ্গল জোয়াল, হাল গরু নিয়ে জমি চাষের জন্য । এক সময় এখানকার বিল ও গ্রামীণ পলিবাহিত উর্বর এই জনপদের মানুষদের কাক ডাকা ভোরে ঘুম ভাঙ্গতো লাঙ্গল জোয়াল আর হালের গরুর মুখ দেখে।

এখন যন্ত্রের আধিপত্যে সেই জনপদের মানুষদের ঘুম ভাঙ্গে ট্রাক্টরের শব্দে। জমিতে বীজ বপন অথবা চারা রোপণের জন্য জমির মাটি চাষার ক্ষেত্রে হাল ব্যবহার করে আর ওই মাটি মাড়িয়ে সমান করার জন্য মই ব্যবহার করা হতো। যা কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত অন্যতম পুরনো যন্ত্র।

এই কৃষিজমি আবাদের উপযোগী করার জন্য ষাঁড়, মহিষ প্রয়োজন হতো। লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ করতে কমপক্ষে একজন লোক ও এক জোড়া গরু অথবা মহিষ প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লাঙ্গল জোয়াল, মই, গরু আর মহিষ।

চরপক্ষীমারীর সাতপাইকা গ্রামের প্রবীণ কৃষক মাহিম মিয়া জানান, এক সময় গোটা শেরপুর জেলার প্রায় প্রতিটি বাড়ির প্রতিটি ঘরেই ছিল গরুর লালন-পালন। গরুগুলো যেন পরিবারের এক একটা সদস্যের মতো। তাদের দিয়ে একরের পর একর জমি চাষ করার কাজে ব্যবহার করা হতো।

তাজা ঘাস আর ভাতের মাড়, খৈলের ভুসি ইত্যাদি খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে তোলা হালের জোড়া বলদ দিয়ে জমি চাষ বেড়াতেন কৃষক।

এখন শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি  গ্রামে থাকা জমিগুলোতে কৃষক লাঙ্গল জোয়াল, হাল গরু নিয়ে জমি  চাষাবাদ করা হতো। হালচাষের জন্য ‘প্রশিক্ষিত’ জোড়া বলদের মালিককে সিরিয়াল দিতে হতো জমি চাষ দেয়ার জন্য। চাষের মৌসুমে তাদের কদর ছিল অনেক।

উপজেলার চরশেরপুরের কৃষক মো: আইয়ুব আলী বলেন, অনেকের জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে চাষের লাঙ্গল জোয়াল আর গরুর পালের সঙ্গে। গরু দিয়ে হালচাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো, হালচাষ করার সময় গরুর গোবর সেই জমিতেই পড়ত। এতে করে জমিতে অনেক জৈব সার হতো, এ জন্য ফসলও ভালো হতো।

বর্তমানে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষি ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে শেরপুর সদর  উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বলেন, কম সময়ে জমি চাষ করতে গিয়ে পাওয়ার টিলার ব্যবহার হচ্ছে। পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর মাটির গভীরে যেতে পারে। এটি দিয়ে জমি চাষ করা ভালো এবং আগের তুলনায় এখন ফসলের ভালো ফলন হচ্ছে। কৃষকরাও তাই এদিকে ঝুঁকছে। সম্পাদনা : আলআমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়