সাঈদ তারেক : সিটি নির্বাচনে কম টার্নওভার নিয়ে চলছে নানা গাব-গ্যাজাগেজি। ইনিয়ে বিনিয়ে আভাসে ইঙ্গিতে প-িতরা নানা কথা বলছেন, কিন্তু আসল কথাটা এড়িয়ে যাচ্ছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথাটা যদি সত্য ধরে নিই তাহলে প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে দু’টো। আওয়ামী লীগের লোকেরা কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া দরকার মনে করেন নাই। কারণ তারা কি আগেই জানতেন যে, মেকানিজম করা আছে তাদের প্রার্থীরা এমনিতেই জিতে যাবে! অথবা বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা এবং ইসির ওপর তাদেরও আস্থা নাই ফলে ভোট দিতে যাওয়াকে তারা নিরর্থক মনে করেছেন। কোনটা?
বিএনপি প্রথম থেকেই বলে আসছে, দলদাস ইসির অধীনে নির্বাচন কখনই ফেয়ার হবে না। সরকারের চাহিদা অনুযায়ী তারা ফলাফল এনে দেবে। সে কারণে এই দলের লোকেরাও ভোট দিতে যায় নাই। তাহলে কথাটা কি দাঁড়াচ্ছে? উভয় দলই মনে করে এই ইসি একটা দলদাস ভাঁড়মাত্র। এদের অধীনে কখনো ফেয়ার ইলেকশন হতে পারে না।
বিএনপি সরকারবিরোধী দল, সরকারের সব কাজের বিরোধীতাই তাদের কাজ। সেটা ঠিক আছে। তবে এই নির্বাচনে এটাও বোঝা গেলো আওয়ামী লীগেও সবাই নির্বোধ বেকুব নন। এখানেও অনেক ভদ্র সভ্য এবং বিবেকবান মানুষ আছেন। তারা যে সরকারের ন্যায় অন্যায় সব কাজকেই অন্ধের মতো সমর্থন করে না- এই নির্বাচনে ভোট দিতে না যাওয়া হচ্ছে তার একটি প্রকাশ্য প্রমাণ। আমি অনেক আওয়ামী লীগারকে জানি যারা দেশের বর্তমান এই গণতন্ত্রহীনতা, যথেচ্ছাচার, দলদাস ইসিকে দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের তা-বলীলা সমর্থন করেন না। যার প্রমাণ সরকারের অনুসৃত নীতির প্রতি রাজধানী শহরে মাত্র ১৩ পার্সেন্ট সমর্থন। এটাই হচ্ছে রূঢ় বাস্তবতা। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা চোখে গগলস লাগিয়ে থাকেন, ফলে হয়তো এই বাস্তবতা দেখতে পান না। অথবা দেখতে পান বলেই চোখে গগলস লাগিয়ে বাস্তবতা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। শত শত কোটি টাকা খরচ করে বিশাল বিশাল শোডাউন দেখিয়ে নেত্রীকে বোঝান সারা দেশ আমাদের, মানুষ সব আওয়ামী লীগ বলতে পাগল। কতোটা পাগল তা তো দেশবাসী দেখলো! সিটি নির্বাচনের এই চিত্রও যদি হাই কমান্ডের বোধোদয় ঘটাতে না পারে, বুঝতে হবে সামনে আরও খারাপ দিন আসছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :