মশিউর অর্ণব: ২০১৯-nCOV বা নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেছে ৭২৪ জনের। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে। করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে ডালপালার মতো ছড়িয়েছে কিছু গুজব। পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কিংবা ভাইরাসটির চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও মানুষের মাঝে প্রচলিত রয়েছে কিছু ভুল ধারণা। এরকমই কয়েকটি প্রচলিত ধারণাকে খণ্ডন করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
প্রচলিত আছে, চীন থেকে আসা কোনো চিঠি বা প্যাকেজ গ্রহণ করলে গ্রহণকারীর দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কিন্তু ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল, কারণ চিঠি বা প্যাকেজের মতো পণ্যদ্রব্যে ভাইরাসটি সক্রিয় থাকতে পারে না।
প্রচলিত আছে, পোষা প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ায় করোনাভাইরাস। অথচ এখনও পর্যন্ত পোষ্য কুকুর-বিড়ালের মাধ্যমে ভাইরাসটির বিস্তারের কোনো সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।
আরও একটি ভুল ধারণা হলো, নিউমোনিয়ার ওষুধে সারবে করোনাভাইরাস। অথচ নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিনে কেবল নিউমোনিয়াই সারে এবং এখনপর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।
প্রচলিত আছে করোনাভাইরাস যেহেতু নাসারন্ধ্রের মধ্য দিয়ে শ্বাসনালীকে আক্রমণ করে, তাই স্যালাইনের দ্রবণ দিয়ে রোজ নাক পরিস্কার করলে করোনাভাইরাস নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দ্রবণ দিয়ে নাক পরিস্কার রাখলে সেটি সাধারণ ঠান্ডাকে দূরে রাখবে, করোনাভাইরাসকে নয়।
প্রচলিত আছে, কেবল বয়স্করাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। অথচ যেকোনো বয়সীরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বয়স্কদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত কম বলে তাদের ঝুঁকি বেশী থাকে।
আরও একটি ভুল ধারণা হলো, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু নিশ্চিত। অথচ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২.০৯ শতাংশ মানুষ মারা গেছেন।
এছাড়াও নিয়মিত তিলের তেল, আদা, রসুন খেলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায় বলে বিশ্বাস করেন কিছু মানুষ। এই ধারণাগুলোও সম্পূর্ণ ভুল এবং অবৈজ্ঞানিক।
আপনার মতামত লিখুন :