হাদিউল হৃদয়, তাড়াশ প্রতিনিধি : শীতের এই সময়ে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা নওগাঁ ইউনিয়নের করতোয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন চোখে পড়ছে। অতিথি পাখিদের মনোরম উপস্থিতিতে প্রকৃতিতে এনেছে নতুন রূপ। ভিনদেশি এসব অতিথি পাখি হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন বয়সি মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।
তাড়াশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মর্জিনা ইসলাম বলেন, ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। একেক ঋতুতে ধারণ করে একেক রূপ। আর প্রতিটি রূপেই রয়েছে কিছু বিশেষত্ব। শীত ঋতুর বিশেষত্বের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অতিথি পাখি। আর এই অতিথি পাখিই শীতকালের সৌন্দর্য। যার উপস্থিতিতে শীতের প্রকৃতিতে আনে নতুন রূপ। শীতকালে বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে আসে এসব অতিথি পাখি। বিশ্বের যেসব দেশে তীব্র তুষারপাত হয়। সেসব দেশ থেকে এ অতিথি পাখির আগমন ঘটে। কারণ তীব্র তুষারপাতে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। তাই প্রাণ বাঁচাতে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিল-দিঘি-বাওড় বা লেকে এ অতিথি পাখিদের মনোরম উপস্থিতি চোখে পড়ে। আবার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে ওরা চলে যায়। ওরা আমাদের কোনো ক্ষতি করে না।
নওগাঁ গ্রামের প্রদীপ কর্মকার বলেন, প্রতিবছর শীতের সময় চলনবিল এলাকার বিভিন্ন বিলে দেখা গেলেও এবার প্রথম আমাদের এলাকায় অতিথি পাখি আসে। আমরাও এ অতিথিদের অপেক্ষায় থাকি। আমরা অতিথিদের খেয়াল রাখি। তাদের উপর নজর রাখি যাতে কেউ শিকার করতে না পারে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহান বলেন, শীত এলেই উপজেলার বিভিন্ন হাওড়, বিল ও জলাশয়ে হঠাৎ নানা প্রজাতির এ পাখি দেখতে পাওয়া যায়। এ পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্য। পাখি প্রকৃতির অলঙ্কার। এ অলঙ্কার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না। সর্বস্তরের মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :