মাজহারুল ইসলাম : ঋতু পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে গাছে গাছে এখন আমের মুকুলের সমারোহ। গাছভরা ওইসব মুকুল আগাম বার্তা দিচ্ছে মধু মাসের।
ফাল্গুনের এখনও কয়েক দিন বাকি। শীতও এখনও শেষ হয়নি। অথচ এরই মধ্যে সাতক্ষীরার কিছু কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। বেশ কিছু এলাকায় আমগাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। বাতাসে মুকুলের ম-ম সুবাস বইছে। পরিমাণ কম হলেও ইতোমধ্যে মালিকরা এর পরিচর্যা শুরু করেছেন।
সাতক্ষীরা শহরের প্রধান সড়কের পাশে পুলিশ লাইনস মাঠ, ঢালি পাড়ার মোড়ে, আমতলা, কাজীপাড়া, সরকারি স্কুলের সামনে, পি এন স্কুল রোড, নবারুন স্কুলের পাশেসহ তালা, কলারোয়াসহ বিভিন্ন এলাকার আমগাছে আগাম মুকুল শোভা পাচ্ছে। মুকুলে এখনই মৌমাছির গুঞ্জন। এর মিষ্টি ঘ্রাণ যেনো জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতের স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী মুকুল।
আমগাছের মালিক তাসমিনুর রহমান ববি জানান, আগাম মুকুল দেখার পর থেকে মনটা ভালোই লাগছে। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘনকুয়াশা থাকলে মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কিছুটা আশঙ্কা থাকে।
কৃষি কর্মকর্তার অরবিন্দু দেবনাথ জানান, নির্ধারিত সময়ের আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসে। ঘনকুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যায়। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে, সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে।
শহরের মাছখোলা এলাকার বাসিন্দা উজ্জল নাথ বলেন, আমগাছে আগাম মুকুল বাতাসে মিশে সুষ্টি করছে ম-ম গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করছে।
আপনার মতামত লিখুন :