অজয় দাশগুপ্ত : পদক নিয়ে সাধারণত কোনো কথা বলি না। মনে হতে পারে অপ্রাপ্তিজনিত ক্ষোভ বা বেদনা। কয়েকটা কথা বলা দায়িত্ব মনে করছি। যৌবন রাঙানো একটি ছায়াছবির নাম ছিলো ‘ঘুড্ডি’। সে ছবিতে একেবারে অহিরো চেহারার এক যুবক মাতিয়ে রেখেছিলেন আমাদের। প্রচলিত ধারণার বাইরের এক অভিনেতা, মঞ্চসফল। কালক্রমে ওপার বাংলায়ও তুমুল জনপ্রিয়। গৌতম ঘোষ থেকে ঋত্বিক যেমন কাজ তেমনি অভিনয়। ‘পদ্মা নদীর মাঝিতে’ বুকে দাগ টানা অভিনেতা। মনে পড়ে না।
একুশে পদকদাতাদের রাইসুল ইসলাম আসাদকে মনে পড়ে না। মনে পড়ে না মঞ্চকুসুম বাংলাদেশের থিয়েটার জগতের প্রাণপ্রতিমা শিমুল ইউসুফকে। আকালের সময়ে নাটক মঞ্চ থিয়েটারকে আঁকড়ে রাখলেও পদকে উধাও।আর আপনি মেহেদী হাসান খান। এই আপনার জন্য ষাট পেরুনো বয়সে আমি চটপট টাইপ করে দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় লেখা পাঠাই, মুহূর্তে ধরে ফেলতে পারি সময়। চলমান থাকি সামাজিক মিডিয়ায়। আপনি অভ্রভেদী রথে চড়ে উপহার দিয়েছেন অভ্র। যে আকরে বাংলা লিখি আমরা। তাতে কী? মিডিওকারের সমাজে লবিংয়ের দেশে আপনার কপালে একুশে পদক মরণোত্তর ভাইটি। (এবারের একুশে পদক পাওয়া বন্ধু জাফর ওয়াজেদসহ সবাইকে অভিনন্দন। যদিও গোটা পনেরোজনকে বা কারা জানি না। নামও শুনিনি। মূর্খই থেকে গেলাম আজীবন)। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :