শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২১ সকাল
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগে যে মাস্ক ছিলো ৫ টাকা এখন তা নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা

মির্জা ইয়াহিয়া : কথায় আছে কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। দেশের ডেঙ্গুর পর চীনের নোভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ যখন বেড়ে গেলো তখন রাতারাতি বেড়ে গেলো ওডোমসের দাম। এটা গায়ে মাখলে মশা আক্রমণ করতে পারে না। তাই ঢাকা শহরে ওডোমস কেনার হিড়িক পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে দোকানদাররা ২০০ টাকার ওডোমসের দাম ৮০০ টাকা নিলো। ডেঙ্গু টেস্টের দামও অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। সরকার টেস্টের দাম নির্ধারণ করায় এই সিন্ডিকেটবাজি বেশিদিন থাকেনি। কিন্তু অভিযান চালিয়েও ওডোমসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দামের ক্ষেত্রে গত কয়েক মাসে আলোচিত পণ্য হচ্ছে পেঁয়াজ। কিন্তু এর দামও অনেক ক্ষেত্রে বেড়েছে সিন্ডিকেটের কারণে। কারণ যে পেঁয়াজ আমদানিতে কেজিতে খরচ ৬০ টাকা পড়েছে, সেখানেও দাম কাস্টমার পর্যায়ে ছিলো ২০০-২৫০ টাকা। এখন যেখানে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। দেশের নতুন পেঁয়াজও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। অথচ দাম ১০০ টাকার নিচে নয়। এখানে সিন্ডিকেট যে সক্রিয় তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।

আমরা যারা ক্রেতা, তাদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব আছে। ব্যবসায়ীদের অপকৌশলে আমরা দেখলাম একদিন লবণের দাম আকাশচুম্বি হয়ে গেলো। দোকানদাররা লবণ মজুদ করলো বিপুল পরিমাণে। আবার অনেক ক্রেতা কেজিতে কেজিতে লবণ বাসায় মজুদ করলো। সেই লবণ এখনো শেষ হয়নি। অনেকে বাধ্য হয়ে লবণ বিভিন্নজনকে উপহার দিয়েছে। এবার বলি মাস্কের কথা। চীনে নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত আমাদের দেশের সবাই। তাই মাস্কের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। তাই দামও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। আগে যেটা ছিলো ৫ টাকা, এখন সেটার দাম নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। এই দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফালোভ অনেকাংশে দায়ী। শুধু খুচরা পণ্য নয়, আরও অনেক ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা সুবিধা আদায় করে নেন। এ কারণে ঠকতে হয় জনসাধারণকে। সিন্ডিকেট বন্ধে সরকারের আইন আছে, কিন্তু নেই কোনো প্রয়োগ। তাই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি জনগণ। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়