সাইফুর রহমান: তারা জানিয়েছেন, করোনভাইরাস আতঙ্কে সতর্কতা জারির পর বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ডর্মেটরি সিলগালা করে রাখায় একরকম বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন তারা।
চীনের ইচাং শহরে আটকে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের নতুন সময়কে জানান, ভাইরাস আতঙ্কে গোটা শহরেই বন্ধ রয়েছে দোকানপাট এবং গণপরিহণও।যার ফলে তীব্র খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে পড়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষও পানি এবং খাবার সরবরাহের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জনি জানান, অনলাইনে খাবার অর্ডার করে একদিন পর পাবার কথা থাকলেও তা পেতে ৪-৫ দিন লেগে যাচ্ছে। আবার চাহিদামতো খাবার সরবরাহও করতে পারছে না অনলাইন শপগুলো। ফলে একরকম খেয়ে না খেয়েই তাদের দিন পার করতে হচ্ছে।
এছাড়া অতি শীঘ্রই এমন পরিস্থিতির অবসান হবে সে নিশ্চয়তাও নেই। ফলে একদিকে ভাইরাস আতঙ্ক, অন্যদিকে তীব্র খাবার সঙ্কটে বদ্ধ ঘরে প্রতিটি মুহুর্ত কাটছে তাদের চরম অনিশ্চয়তায়। ফলে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস কয়েক দফায় তাদের আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত কোনো সূরাহা হয়নি। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ে যোগাযোগ করেও কেবল আশার বানী শুনতে হয়েছে তাদের। এমতাবস্থায় যেকোনও শর্তে দেশে স্বজনদের কাছে ফিরে আসতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :