সমীরণ রায় : সম্প্রতি শেষ হওয়া ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিগত নির্বাচনগুলোর মধ্যে ভোটার উপস্থিতি সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। এ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে উত্তরে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ও দক্ষিণে ২৯ শতাংশ। তবে নতুন পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ার কারেণই ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে, পুরো ঢাকাজুড়ে আগে প্রযুক্তি ব্যবহার হয়নি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
তারা মনে করেন, নতুন সিস্টেম, ছুটির বিষয়সহ কিছু কিছু অবস্থার উদ্ভব হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। আর দুর্বলতা অবশ্যই আছে। সেটা খতিয়ে দেখব। দলের আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। তবে বিএনপি বলার জন্য বলছে ও বিরোধিতা করছে। কিন্তু তারাও জানে নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে। একটা ভালো ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে যে সংঘাতের আশঙ্কা ছিল সেটা হয়নি। এটা স্বস্তিদায়ক ও এর কৃতিত্ব নির্বাচন কমিশনের।
দলটির শীর্ষ নেতারা আরও বলেন, ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোনো ধরনের সহিংসতা হয়নি। ভোট যেটাই হোক জনগণের ভোটে দুই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে ভোটের ওপর মানুষের অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও জবরদখলের ঘটনায় নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি মানুষের আস্থা নেই। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এমনকি ফল নির্ধারণে ভোটারদের গুরুত্ব নেই। একই সঙ্গে ভোটের ফল নিয়ে সাধারণ মানুষের খুব বেশি মাথাব্যথা না থাকার কারণেই সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকার কথা বলি, তাদের কতো পার্সেন্ট লোক টার্ন আউট করে? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তো দুনিয়ার গণতন্ত্রের সবচেয়ে অভিজাত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কেমন টার্ন আউট হয়? উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে টার্ন আউট কেমন? এজন্য সেইসব দেশের অবনতি কী ঘটছে, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে?
আপনার মতামত লিখুন :