শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মুজিবনগর দিবস বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:০৪ দুপুর
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাপের কামড়কে যে গ্রামে সৌভাগ্যের লক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়!

মুসবা তিন্নি : আমাদের চারপাশে যে সব সরীসৃপ আছে তাদের মধ্যে সাপ জাতীয় প্রাণী থেকে আমরা সাবধানে থাকি। সাপের কামড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের একটি জায়গায় সাপকে দেবতা হিসেবে পূজা করা হয় আর যে সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় সেই সাপের কামড় কে প্রসাদ হিসেব গন্য করা হয়। ‘সর্প’ দেবতা হিসেবে এখানে পূজিত হন। - আজকাল

আমরা সবসময় সাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা সাপের সঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করে। কারণ তাদের আরাধ্য দেবী যে একটি সাপ। যেহেতু সাপের কামড় প্রসাদ তাই এখান কার বাসিন্দাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে সাপের কামড়ে তাদের কোন অনিষ্ট হয় না।প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মহাসমারোহে সমস্ত আচার বিধি মেনে দেবী ঝঙ্কেশ্বরীর পুজো হল মঙ্গলকোটে।

পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মশারু,পলসোনা, ছোট পোসলা ও বড় পোসলা গ্রামে গুরুপূর্ণিমার পর প্রতিপদে লোকদেবী ঝঙ্কেশরীর পুজো হয়। প্রায় ৯ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট লোকদেবী ঝঙ্কেশরীর দ্বিভূজা প্রস্তর মূর্তির এক হাতে থাকে সাপ, অন্য হাতে থাকে গদা। ইতিহাসবিদদের মতে, বৌদ্ধতন্ত্রের জাঙ্গুলি দেবীর সঙ্গে এই ঝঙ্কেশ্বরীর দেবীর সাদৃশ্য রয়েছে।

অষ্টনাগ মন্ত্রে দেবী ঝঙ্কেশরী পূজিতা হন। এর সঙ্গে বঙ্গ দেবী মনসার কোন সাদৃশ্য নেই।পূর্ব বর্ধমানের এই এলাকায় আনাচকানাচে কেউটে জাতীয় কালো বিষধর সাপ দেখা যায়। কেউটের সঙ্গে ফারাক শুধু ফনার পিছনের চক্রে। ঝঙ্কেশ্বেরীর ফনার চক্র কেউটের থেকে আকারে ছোট। এখানে নির্ভয়ে স্বর্প দেবতা ঘুরে বেড়ায়। এই দেবীর মাহাত্ম্য স্থানীয় লোকেদের মুখে মুখে প্রচারিত।

বিষধর সাপের মতো দেখতে হলেও এই সাপের নাকি বিষ নেই। কাউকে সাপ কামড়ালে একটি ছোট পুকুরে স্নান করে ঝঙ্কেশ্বরী মন্দিরের মাটি কাটা জায়গায় লাগিয়ে নিলেই নাকি মানুষ সুস্থ হয়ে যাবে।ব্যাঙ হল ঝাড়েশ্বরীর প্রধান খাদ্য।

যেহেতু দেবীর খাদ্য ব্যাঙ তাই এখানকার গ্রামবাসীরা ব্যাঙ কে নাড়ু বলেন। ঝঙ্কেশ্বরী যাতে রুষ্ট্র না হন তার জন্য আশেপাশের চারটি গ্রামে সাপুড়ে দের ঠুকতে দেওয়া হয়না। পুজোর সময় গ্রামের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো সাপকে ধরে এনে দেবীজ্ঞানে পুজোও করা হয়ে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়