শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:২৯ সকাল
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নবনির্বাচিত দুই মেয়রের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

তিমির চক্রবর্ত্তী: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন শেষ হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে দুই মেয়র তাদের দায়িত্ব নিবেন। কিন্তু নবনির্বাচিত দুই মেয়রকে নগর উন্নয়নের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

ঢাকার একাধিক সচেতন নাগরিকদের সাথে গত দুই-তিন দিন কথা বললে তারা জনান, চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- জনগণের আস্থা অর্জনে সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা, টেকসই মশক নিয়ন্ত্রণ করা,যানজট-জলজট নিরসন, পুরান ঢাকা ও নতুন ৩৬ ওয়ার্ডকে সচল করা। এগুলো মোকাবেলা করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলেই দলমত নির্বিশেষে নগরবাসীর কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত হবে।

এছাড়া নতুন এক সচল ঢাকা যেখানে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমবে না, বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করা, বস্তি ও হকার পূনর্বাসন, পরিবেশবান্ধব বর্জ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা, তরুণদের কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ উপহার দেওয়া। মেয়রদের প্রতিশ্রুতিতে সাড়া দিয়ে নগরবাসী তাদের রায় দিয়ে জয়যুক্ত করেছে। দুই মেয়র ক্ষমতাসীন সরকার দলীয় হওয়ায় তাদের কাছে নগরবাসীর প্রত্যাশাও বিশাল, তবে প্রত্যাশার চেয়ে বাস্তবায়নই তাদের মুল চাওয়া। সচল, দৃষ্টি নন্দন ও বসবাসযোগ্য শহর উপহার দিতে পারবে কিনা তার দিকে দৃষ্টি এখন নগরবাসীর।

এছাড়া নগর সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় গড়ে তোলা, ফুটপাতগুলোকে দখল মুক্ত করে ব্যবহার উপযোগী করা। খেলার মাঠ ও পার্কগুলো দৃষ্টিনন্দন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা। এসব জনহিত কাজে দুই মেয়র নেতৃত্ব দিলে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

এলাকাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিভাজন বা স্কুল জোনিং করা এবং নিদিষ্ট স্থানে গাড়ী পাকিং এর ব্যবস্থা করা।

পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি পরিবেশ দূর করে ক্যামিক্যাল কারখানা অপসারণ করতে হবে। সরু সড়কগুলো প্রশস্ত করে পার্কিং এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণ করতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান করে পুরান ঢাকাকে বাস উপযোগী করার কাজে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়রকে।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পূর্বাঞ্চলের ১৬টি ইউনিয়নকে ৩৬টি ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করে দুই সিটিতে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এ ৩৬টি ওয়ার্ডে জমি অধিগ্রহণ করে ওই এলাকাকে বাসযোগ্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ডিএনসিসি'র দুই মেয়রকে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কোন অশুভ শক্তি যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়