শিমুল মাহমুদ : শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আজ ৭৩০ দিন কারাজীবন অতিবাহিত করছেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতার দম্ভে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছে। শুধুৃ ধরাকে সরা জ্ঞান নয়, দেশ পরিণত হয়েছে হীরক রাজার দেশে। হীরক রাজার দেশের মতোই বাংলাদেশের মন্ত্রী-নেতাদের উদ্ভট, অসামঞ্জস্য ও লাগামহীন কথাবার্তা এবং আচরণে দেশবাসী এখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে বিচার, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করে দেশকে এক ভয়াল নগরী বানানো হয়েছে। আওয়ামী প্রতিহিংসার রাজনীতির বেড়াজালে দেশ ও দেশের মানুষ এখন কাতরাচ্ছে।
বিএনপির এ মূখপাত্র বলেন, বিনা ভোটের সরকার জনগণের ওপর দমন-পীড়ণ চালিয়ে এবং গণতন্ত্রকে তাদের দুশমন হিসেবে গণ্য করে দেশ থেকে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল ও মতকে উধাও করার মাধ্যমে একচ্ছত্র ও এক ব্যক্তির শাসন বলবৎ রাখতে চায়। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ‘গণতন্ত্রের মা’ এবং জনগণের অধিকার আদায়ের আশ্রয়স্থল বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ সাজানো মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আদালতের ঘাড়ে বন্দুক চাপিয়ে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রাখা হয়েছে। কারাবন্দীত্ব কেবলমাত্র এক ব্যক্তির হিংস্র প্রতিহিংসার কারণে।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। তিনি ক্রমান্বয়ে চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলছেন। তিনি অন্যের সাহায্য ব্যতিরেকে প্রাত্যহিক কোন কর্মই সম্পাদন করতে পারছেন না। কিন্তু তাকে সুচিকিৎসাটুকুও দেয়া হচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা দিনকে দিন চরম অবনতি হতে থাকলেও প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকারের ক্রোধের আগুন যেন নিভছেই না।
মিছিলে তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান, জাসাস কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আহসান উদ্দিন খান শিপন, শেখ আব্দুল হালিম খোকন, মেহবুব মাসুম শান্ত, কে এম রেজাউল করিম রাজু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনিসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :