সিরাজুল ইসলাম : জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার কঠোর জনসুরক্ষা আইন (পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট) প্রয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ আইন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) ও ন্যাশনাল কনাফারেন্স আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হলো। টাইমস অব ইন্ডিয়া
আটকের পর কাশ্মীরের এই দুই নেতাকে অন্তত ৩ মাস জেলে রাখা হতে পারে। তাঁদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় এদিন সই করেন জেলাশাসক।
এই আইনকে আগে বলা হত জম্মু-কাশ্মীর সুরক্ষা আইন। ফারুক আবদুল্লার বাবা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ পাচারকারীদের ধরতে এই আইন এনেছিলেন। জনসুরক্ষা আইনকে খুবই কড়া আইন বলা হয়ে থাকে। কোনও ব্যক্তির আচরণে প্ররোচনা থাকলে বা তা যদি উত্তেজক হয় বা সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন করলে তাঁকে আটক করা যায় এই আইনে।
গত সেপ্টেম্বরে ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া হয়। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মির। একই সঙ্গে এটাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। এরপর ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এক পর্যায়ে সাবেক এই দুই মুখ্যমন্ত্রীকে আটক গ্রেপ্তার করা হয়। ওমর আবদুল্লার উপর এই একই ধারা প্রয়োগ করেছিলো মোদী সরকার। তাঁর বাবা ফারুক আবদুল্লাকেও একই ধারা প্রয়োগে আটক করে রাখা হয়েছে। আদালতে এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। কেন্দ্র থেকে তখনই জানানো হয়, জনসুরক্ষা আইনের আওতায় তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এই আইনে অশীতিপর এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মানে তিন মাসের কম সময় আটক করে রাখা।
অতিসম্প্রতি এনসি-র সাধারণ সম্পাদক আলি মহম্মদ সাগর, প্রাক্তন এনসি বিধায়ক বশির ভির, পিডিপি নেতা সরতাজ মাডনির উপরে একই ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল। বুধবারই তাঁদের বিধায়ক হস্টেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :