সিরাজুল ইসলাম : তিনি উহান কেন্দ্রীয় হাসপাতালের চক্ষু রোগ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন সেখানে। বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৫৮ মিনিটে তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বিবিসি, সিএনএন
এর আগে চীনের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম ডা. লির মৃত্যুর খবর দেয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবরটি মিথ্যা দাবি করে। পরে তারা খবরগুলো সরিয়ে নেয়।
প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, ১০ জানুয়ারি ডা. লি কাঁশতে শুরু করেন। পরদিন তার শরীরে জ¦র দেখা দেয়। এরপর দিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ৩০ জানুয়ারি তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথমে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন। এরপর গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর হাসপাতালটিতে পুলিশ পরিদর্শনে যায়। তারা তাকে এ খবরটি চেপে যেতে বলে।
এরই মধ্যে দেশটিতে এ ভাইরাসে ৫৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি মানুষ। ৩৪ বছর বয়সী ডা. লি এক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘উয়েবু’তে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি ৭ জন রোগীর শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত করার কথা জানান। এটা অনেকটা এসএআরএস ভাইরাসের মতো। ওই ভাইরাস ২০০৩ সালে বিশে^ মহামারী রূপ নেয়। ডাক্তারদের গ্রæপে তিনি প্রতিরোধমূলক পোশাক পরার কথা বলেন। চারদিন পর তাকে ডেকে পাঠায় পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো। তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে সামাজিক অস্থিরতা তৈরির অভিযোগ আনা হয়। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডা. লিসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলো পুলিশ। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ডা. লির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি চীনের উহান শহরে। এ ভাইরাসে প্রথম কাঁশি, জ্বর ও পরে নিউমোনিয়া হতে পারে। চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে দুইজন এ ভাইরাসে মারা গেছেন। জাপান, থাইল্যান্ড, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ২৫টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :