শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:০৭ সকাল
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই দলের শতাধিক প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ঢাকার দুই সিটির পর এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হয়েছে। ভোট করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইভাবে আরও পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনও করতে যাচ্ছে ইসি। প্রস্তুত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে দলটির কয়েক ডজন প্রার্থী দলীয় টিকিট পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি চট্টগ্রাম সিটি ভোটে অংশ নেবে কি সে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, শুধু চট্টগ্রাম সিটিই নয়, সামনের সব স্থানীয় সরকার ও উপনির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপির ভোটে যাওয়ার বিকল্প কোনো পথও খোলা নেই বলে মনে করেন দলের নীতিনির্ধারকরা। পরিস্থিতি যত প্রতিকূলেই থাকুক, ভোটে থাকবেন তারা। অবশ্য দলের একটি অংশ বর্তমান সরকার ও এই ইসির অধীনে আর কোনো ভোটে না যাওয়ারও পক্ষে। তবে ভোটে গিয়ে পরাজয়েও অর্জন থাকে বলেই মনে করে দলের হাইকমান্ড। তবে দুই দলেই প্রার্থী তালিকায় অনেক নতুন মুখও দেখা যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে তিনটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ২১ মার্চ ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি ভোটের তফসিল ঘোষণা হবে। একই দিনে বগুড়া-১ এবং যশোর-৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সূত্রমতে, চট্টগ্রাম সিটি ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। তার বিকল্প জনপ্রিয় কেউ আছে কিনা তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। সর্বাধিক জনপ্রিয় যাকে পাওয়া যাবে তাকেই দেওয়া হবে নৌকার টিকিট। দলের একাধিক সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইভাবে বিএনপিতেও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের নামই নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। আবার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর ও মহানগরের সাবেক নেতা এরশাদুল্লাহর নামও আলোচনায় রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা-১০ আসনের এমপি পদ ছাড়েন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ফলে ওই সংসদীয় আসনটি শূন্য হয়ে যায়। এই আসনে উপনির্বাচনে যে কজনের নাম আলোচনায় তাদের মধ্যে ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এ ছাড়াও একাদশ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, তাপসের বড় ভাই ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, তাপসের সহধর্মিণী আফরিন তাপস, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামও আলোচনায় আছে। ওই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করেছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এবার বিএনপি নির্বাচনে গেলে সেই আসনে বিএনপির তরুণ নেতা দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম ভোট করতে পারেন। গতবারই দলের প্রার্থী তালিকায় তার নাম ছিল। এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছেন তিনি। এ ছাড়া লন্ডনে থাকা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীমও ভোটে লড়তে পারেন বলেও কেউ কেউ বলছেন।

গাইবান্ধা-৩ আসনের এমপি ডা. ইউনুস আলী সরকার গত ২৭ ডিসেম্বর মারা যান। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ইউনুস আলী সরকারের বড় ছেলে ডা. ফয়সাল ইউনুস, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য তোফাজ্জল হোসেন সরকার, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হকসহ এক ডজন প্রার্থী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাইনুল হাসান সাদিক। নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে তার নাম। তবে বিএনপির আরেক নেতা রফিকুল ইসলাম রফিকও মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেন। তার মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়া আসনটির উপনির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি অধ্যাপক আবদুর রহিম খান, ডা. মোজাম্মেল হকের পুত্রবধূ ইসমত আরা চৌধুরী শিরিনসহ কমপক্ষে ১০ জন।

এই আসনটি বিএনপি বরাবরই জামায়াতকে ছেড়ে দেয়। বিএনপি-জামায়াত জোটগতভাবে ভোটে গেলে জামায়াতের আগের বারের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল আলিমই মনোনয়ন পেতে পারেন। এ ছাড়া বিএনপি থেকে সেখানে দলের কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. কাজী মনিরুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খায়রুজ্জামান শিপন ও শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খান মতিয়ার রহমানের নামও আলোচনায় আছে। বগুড়া-১ আসনের এমপি আবদুল মান্নান গত ১৮ জানুয়ারি মারা যান। এ আসনে এবার প্রার্থী তালিকায় আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন, প্রয়াত এমপি আবদুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নান শিল্পি ও পুত্র মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সজল। এ ছাড়া এই আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট চান সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র আলমগীর শাহী সুমন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি ম. আবদুর রাজ্জাক ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দকুর রহমান। অন্যদিকে বিএনপির সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলামের নাম দলের ভিতরে-বাইরে আলোচনায় রয়েছে। জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন চৌধুরী দলীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিনযাবত কাজ করছেন। এ ছাড়া সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকিরও ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। সর্বশেষ গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও যশোর-৬ আসনের এমপি ইসমাত আরা সাদেক। শূন্য হয়ে পড়া এ আসনে উপনির্বাচনেও দাঁড়াতে চান আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। এদের মধ্যে একজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। এ ছাড়া কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ওয়াহিদ সাদিক, পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিনও এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় প্রহর গুনছেন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে এই আসনে ভোটে লড়তে চান দলের কেন্দ্রীয় সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ ও কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়