শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৩:৪৫ রাত
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৩:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের কেরালায় রান্নাঘরের কল খুলতেই বেরিয়ে এলো বিদেশী মদের ককটেল

মশিউর অর্ণব: পানশালায় ট্যাপ খুলে গ্লাস ভরে বিয়ার পাওয়ার বিষয়টি একরকম। তবে বাড়ির রান্নাঘরের ট্যাপের মাধ্যমে বিয়ার, ব্র্যান্ডি এবং রামের ককটেল পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাসিন্দারা এমনই এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। বিবিসি

জানা যায়, শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা সম্প্রতি থ্রিসুর জেলার চালাকুডির এলাকায় সলোমন অ্যাভিনিউয়ের পাশে অবস্থিত একটি পানশালায় অভিযান চালান। সেখান থেকে ৬০০০ লিটারের বেশি বিয়ার, ব্র্যান্ডি এবং রাম উদ্ধার করে সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়। ওই পানশালার কাছেই ছিল সলোমন এভিনিউ এবং ১৮টি অ্যাপার্টমেন্টের একটি ভবন। এই বিপুল পরিমাণ মদ নষ্ট করতে শুল্ক কর্মকর্তারা অ্যাপার্টমেন্ট ভবন এবং পানশালার মাঝামাঝি একটি স্থানে বড় গর্ত খোঁড়েন এবং সেই গর্তে সমস্ত বোতল থেকে মদ ফেলে সেগুলো খালি করেন।

এর মাত্র কয়েকদিন পর ভবনটির মালিক জানান, ‘আমি এবং আমার ভাড়াটিয়ারা বুঝতে পারছিলাম যে আমাদের রান্নাঘরের ট্যাপ থেকে বাদামী রঙের মদের গন্ধযুক্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে।’ এই বিপুল পরিমাণ অ্যালকোহল মাটির নীচে চুইয়ে ভূগর্ভের পানির সঙ্গে মিশে যায়। অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে পানি সরবরাহকারী পাম্পের মাধ্যমে সেই অ্যালকোহল মিশ্রিত পানি পাইপলাইনে প্রবেশ করে এবং এই পানি সমস্ত অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে যায়। এরপরই আতঙ্কিত বাসিন্দারা স্থানীয় পৌরসভা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।

এ ব্যাপারে শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিভিন্ন মিটিংয়ে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। তবে একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, এই জাতীয় মদ নষ্ট করার স্বাভাবিক নিয়ম হল পুড়িয়ে ফেলা। এর মূল কারণ হল মদগুলো এমনভাবে নষ্ট করা যাতে স্থানীয় জনগণের কোন ক্ষতি না হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়