নিউজ ডেস্ক: সৌন্দর্যের বড় একটা অংশ চোখ। চোখ শরীরের সবচেয়ে সুন্দর একটি অঙ্গ। সুন্দর চোখের নীচে যদি কালো দাগ থাকে, তাহলে তা চোখের জন্য যেমন খারাপ, তেমনই সৌন্দর্যহানীকর। একুশে টিভি
মানুষ কর্মব্যস্ত থাকায় নিজের প্রতি যত্ন নিতে পারেন না। অনেক সময় অতিরিক্ত কাজের চাপে ঠিক মতো ঘুমাতেও পারেন না, তখন সারা শরীরে নেমে আসে ক্লান্তি। চোখের নিচের ত্বক কালো বর্ণ হতে থাকে
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়
নারিকেল তেল-হলুদ: কাঁচা হলুদ বেটে তার সঙ্গে নারিকেল তেল আর আমন্ড তেল মেশান। ঘন প্যাক বানিয়ে চোখের নীচে এবং পুরো মুখে ভাল ভাবে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন লাগাতে পারলে কালো দাগ দূর তো হবেই এবং আপনার মুখের ত্বকও উজ্জ্বল হবে।
আলু বাটা: খোসাসহ আলু বেটে চোখের নীচে লাগান। তিন-চার দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে চোখের কালো দাগ দূর হয়।
কফি বিন: শপিং মলে বা কফিশপে কফি বিন কিনতে পাওয়া যায়। কফি বিন কিনে এনে ব্লেন্ডারে গুড়া করে নিন। এক চামচ কফিবিন গুড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো কোকো পাউডার ও মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। চোখের নিচ-সহ পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। মুখ ভালো করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের চারপাশে এক পরত আমন্ড তেল লাগিয়ে নিন।
টি ব্যাগ: টি ব্যাগ ব্যবহারের পর তা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর ফ্রিজ থেকে নিয়ে চোখ বন্ধ করে ১০ মিনিট চোখের উপর রেখে দিন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে দূর হবে চোখের নীচের কালো দাগ।
শসা-দই: শসা কুচিয়ে তার সঙ্গে দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন। এরপর এই প্যাক চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করুন।
দই-মধু: দইয়ের মধ্যে থাকা হাইড্রক্সি অ্যাসিড নতুন কোষ তৈরির হার বৃদ্ধি করে। দই, মধু আর গোলাপজলের সংমিশ্রণে প্যাক তৈরি করে তা চোখের নীচে ও মুখে লাগান দিনে ২ বার। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুখে লাগিয়ে নিন ময়শ্চারাইজার বা অ্যালোভেরার জেল। ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের চারপাশে এক পরত আমন্ড তেল লাগিয়ে নিন।
জর-মধু: গাজরে থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা চোখে নীচের দাগ ও বলিরেখা রুখতে সাহায্য করে। গাজর কুরে নিয়ে অথবা হাল্কা সেদ্ধ করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি ১০ মিনিট চোখের নীচে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। অনুলিখন: জেবা আফরোজ
আপনার মতামত লিখুন :