ডেস্ক রিপোর্ট : সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণা থিসিসের ৯৮শতাংশ জালিয়াতির বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নড়েচড়ে বসেছে। একই হাওয়া লেগেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ‘পিএইচডি জালিয়াতি আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টি। বাংলাদেশ জার্নাল
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিভাবে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি প্রদান করা হয় তা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইইউজিসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশের পর আতঙ্কে রয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও তত্ত্বাবধায়কেরা। এর পর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরি থেকে উধাও হওয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষকের পিএইচডি থিসিস। তবে কে বা কারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত তা শনাক্ত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে উধাওয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের অভিজ্ঞতা বলছে, কারো কারো বিরুদ্ধে চার মাসের কম সময়ে পিএইচডি ডিগ্রি তত্ত্বাবধান করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পূর্বে কতিপয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইবি’র ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একে আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আর থিসিস সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের নয়। এটি সংশ্লিষ্ট বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত থাকার কথা।
লাইব্রেরি থেকে থিসিস উধাওয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক মুহ. আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে যারা থিসিস জমা দিয়েছেন তাদের সবারটাই থাকার কথা। যদি না থেকে থাকে; তবে আমরা অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আবদুল লতিফ বলেন, যে ধরনের অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে আমরা প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির পর সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন করা হয়, তা অনুসন্ধান করে তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাধু গবেষক ও গবেষণা তত্ত্বাবধায়কগণ।
আপনার মতামত লিখুন :