শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০১:৫৮ রাত
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০১:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাবির ক্যান্টিন মালিককে খাওয়ানো হল পচা মাংস

ডেস্ক রিপোর্ট : শিক্ষার্থীদের ‘পঁচা’ মাংস খাওয়ানোয় সেই মাংস জোর করে খাওয়ানো হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কবি জসিম উদ্দিন হলের ক্যান্টিন মালিককে। শিক্ষার্থীরা খেতে গিয়ে ‘পচা’ লাগায় সেই মাংসই জোর করে খাওয়ানো হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস

এ সময় হল ছাত্র সংসদের ভিপি ফরহাদ আলী, ক্যান্টিন দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামসহ হলের বেশ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

তানভীর হাসান সৈকত জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হলের ক্যান্টিনে খেতে গেলে ‘পচা’ খাবার পান তিনি। পরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের মুখে ক্যান্টিন মালিক ডালিম সরকারকে ডেকে এনে সেই খাবার খেতে বাধ্য করেন।

ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাতে যখন হল ক্যান্টিনে খাবার খেতে গেলাম তখন ছাত্রদের জন্য রান্না করা গরুর মাংস মুখে দিতেই বমি বমি অবস্থা। মাংস পচে যাওয়ায় ক্যা‌ন্টিন মা‌লিক এই পচা মাংসে লবণ বা‌ড়িয়ে রান্না করে সেগুলো শিক্ষার্থীদের খাওয়াচ্ছে। এরপর আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে ক্যান্টিনে খাচ্ছেন এমন অনেক শিক্ষার্থীই প্রতিবাদ জানায়। তারা আমার কাছে এটাও অভিযোগ করে যে, ক্যান্টিন মালিক মাঝে মাঝেই এই ধরনের পচা খাবার খাওয়াচ্ছে।’

সৈকত বলেন, এরপর আমি ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা স্যারকে আসার জন্য অনুরোধ করলে তিনি আসেন। আমি ক্যান্টিন ম্যানেজারকে ওই মাংস খেতে বলি। এরপর তিনিও মুখে নিয়ে বমি করে দেন। স্যারকে খেতে বললে তিনিও মুখে নিতে পারেননি। পরে ম্যানেজারের মাধ্যমে ক্যান্টিন মালিককে ফোন করে আসতে বলি।

‘কিছুক্ষণ পর ক্যান্টিন মালিক হল সংসদের ভিপিকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টিনে আসেন। এরপর মালিককে অবশিষ্ট সেই মাংস খেতে বললে তিনি একটু খেয়েই অস্বীকৃতি জানান। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তাকে পুরোটাই খেতে বাধ্য করা হয়।’

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, মাঝে মাঝেই ক্যান্টিনে ‘পচা’ খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া খাবারে অখাদ্য বস্তু বা তরকারিতে লবণ কম অথবা বেশি হয়। ছাত্ররা বিভিন্ন সময় ক্যান্টিন ম্যানেজারকে বললেও এর প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

পরে ওই ক্যান্টিন মালিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান এবং পুনরায় এ রকম না হওয়ার আশ্বাস দেন বলে সৈকত জানান।

আবাসিক শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যান্টিনের খাবার পচা ছিল না। তরকারিতে লবণ বেশি হয়েছিল। এখন সেটা কেন হয়েছে সেটাই আজকে আমরা তদন্ত করব।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়